অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় - বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে ৬টি করণীয় জানুন
সাধারণত মানুষের অনেক কারণে পেটে কৃমি হয়ে থাকে।তারা হয়তো অতিরিক্ত কৃমি হলে
করনীয় কি এ সম্পর্কে কোন কিছু জানে না।তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে আপনাদের
যাদের পেটে অতিরিক্ত কৃমি হয় তারা রসুন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।কারণ রসুন
হচ্ছে একপ্রকার কৃমিনাশক।আবার বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয় জানানো
হবে।
পেটে অতিরিক্ত কৃমি হয়ে গেলে আপনাদের আর ভালো লাগবে না।বমি বমি ভাব হতে পারে আরো
অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই আপনাদের পেটে অতিরিক্ত কৃমি হওয়ার আগেই
কৃমি প্রতিরোধ করতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় - বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয় জানুন
অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়
পেটে কৃমি হওয়ার একটি স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু এই পেটের কৃমি অতিরিক্ত পরিমাণে
যদি বেড়ে যায় তাহলে মানবদেহের ক্ষতি হয়ে যায়।তাই আপনাদের খুব সাবধানতা
অবলম্বন করতে হবে।আবার খুব করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।আপনারা অপরিষ্কার
থাকেন তাহলে এই কৃমি হয়ে থাকে।তাই কৃমি প্রতিরোধ করতে আপনাদের আগে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হাত পা ঝিমঝিম করার প্রতিকার
নাহলে দেখবেন যে আপনারা প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়ে গেছেন।তাই কৃমি অতিরিক্ত
হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করতে হবে বা চিকিৎসা করতে হবে।কিন্তু অনেক মানুষ আছে
যারা অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কি তা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই।অতিরিক্ত কৃমি
ভালো করার কোন ধারণা না থাকার কারণে তারা অনেক রকমের অসুখে বিসুখে জড়িয়ে
পড়েছে।তাই কৃমি প্রতিরোধ করতে কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
- আপনারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাবেন এক দু কুয়া।
- অতিরিক্ত কৃমি দূর করতে নারিকেলের তেল খেতে পারেন এই তেল কৃমি দূর করতে খুব কার্যকারী।
- কৃমি দূর করতে আপনারা প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি লবঙ্গ খেতে পারেন।
বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয়
বাচ্চাদের অনেক সময় কৃমি একটু বেশি হয়ে থাকে।তাই বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে
করণীয় কি এটা অনেক সময় বাচ্চার বাবা মা জানে না তাই তাদের জানিয়ে দেওয়া
হলো।কারণ ছোট বাচ্চারা মাটিতে খেলাধুলা করে একটু অপরিষ্কার বেশি থাকে।আবার
নোংরা হাত পা নিয়ে এসে খাবার খেয়ে ফেলে এই কারণে ছোট বাচ্চাদের কৃমি বেশি
হয়ে থাকে।
আর ছোট বাচ্চাদের কৃমি হলে ঔষধ খাওয়া ছাড়া ভালো হয় খুব কম আবার ছোট বাচ্চারা
ঔষধ খেতে চায় না।ঔষধ না খেলে আপনাদের বাচ্চাদের কৃমি খুব সহজে ভালো হবে না।তাই
আপনারা ঔষধ খাওয়ার থেকে কিছু নিয়ম-কানুন মানলে আবার এই কৃমি থেকে মুক্তি পেতে
পারেন।কৃমির সমস্যা খুব খারাপ একটি সমস্যা তাই এটি যেকোনো মূল্যে ভালো করতে
হবে।
কৃমি ভালো করতে যেসব উপায়গুলো অবলম্বন করবেন তা হলো:
- বাচ্চাদের নখ বড় করে রাখবেন না।
- বাচ্চারা যেখানে খেলবে সেখানকার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবেন।
- আবার বাচ্চারা যেখানে খেলা করবে আপনার ফ্লোরে দুই তিন দিন পর পর জীবাণু নাশক স্প্রে করবেন।
- শিশুকে কখনোই খালি পায়ে হাঁটতে দেবেন না।
- আপনার বাচ্চাকে মাটিতে খেলা থেকে বিরত রাখুন।
- খাবার আগে এবং টয়লেট করার পরে অবশ্যই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পা ভালো করে ধুয়ে দিন।
কৃমি হলে কি কি সমস্যা হয়
পেটে কৃমি হওয়ার সাধারণ একটি বিষয়।কিন্তু এই কৃমি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে
যায় তাহলে সমস্যা আরো সম্মুখীন হতে হবে আপনাদের।তাই অল্প অল্প কৃমি থাকতেই বা
প্রতি বছরই কৃমির ঔষধ খাওয়া খুবই ভালো।কারণ অতিরিক্ত কৃমি পেটে হয়ে গেলে
নানান সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ নাকের ইনফেকশন হলে করণীয়
তাই আপনার প্রতি বছর অবশ্যই কৃমির ঔষধ খেতে হবে নাহলে প্রতিদিন সকালে খালি
পেটে এক দু কুয়া রসুন খাবেন তাহলে দেখবেন যে এই কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি
পেয়ে গেছে।পেটে কৃমি হলে কি কি সমস্যা হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
- সব সময় পেটে গ্যাস হয় এবং পেট ফাঁপা হয়ে থাকে।
- খাওয়ার সময় হয়ে গেলেও খিদে না লাগা।
- শরীর প্রচন্ড দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- সব সময় শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকা।
- সব সময় খুশখুশি কাশি হওয়া।
- হঠাৎ করে প্রচুর ওজন কমে যাওয়া।
- ডায়রিয়া হওয়া ও বমি বমি ভাব হওয়া।
গুড়া কৃমির ওষুধের নাম
পেটে কৃমি হওয়ার একটি স্বাভাবিক বিষয়।তবে এই কৃমিকে আপনারা যদি কিছু মনে না
করেন তাহলে আপনার প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন।তাই আপনাদের অবশ্যই কৃমি
অতিরিক্ত বাড়তে দেওয়া যাবে না।যদি কোন ভাবে কৃমি বেড়ে যায় তাহলে সকালে খালি
পেটে রসুন খেতে পারেন প্রতিদিন তাহলে দেখবেন যে।
আপনাদের এই কৃমি রোগ একেবারে ভালো হয়ে গেছে।তাছাড়া কৃমি অনেক ধরনের হয়ে
থাকে।কৃমি অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।তবে কৃমি অতিরিক্ত হয়ে গেলে গুড়া কৃমির
ওষুধের নাম সবাই জানে না।তবে এই গুড়া কৃমি হলে আপনারা প্রতি দুই থেকে তিন
সপ্তাহ পর পর কৃমি নাশক ঔষধ খেতে পারেন।তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
কি খেলে কৃমি হয়
কি খেলে কৃমি হয় ? এইসব খাবার খেলে সাধারণত আধা সিদ্ধ মাছ মাংস খেলে প্রচুর পরিমাণে পেটে কৃমি হয় তাই আপনাদের পুরোপুরি ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করে মাছ মাংস খেতে হবে।অপরিষ্কার জায়গায় থাকলে বা খালি পায়ে মাটিতে চলাফেরা করলে কৃমি তো হয়ই তার সাথে সাথে আধা সিদ্ধ মাছ মাংস বা শাকসবজি খেলে প্রচুর পরিমাণে কৃমি হয়।
তাই আপনাদের অবশ্যই আধা সিদ্ধ জিনিস খাওয়া যাবে না।আর আপনারা আজ এই খাবারগুলো খাবেন সেই খাবারগুলো যেন পুরোপুরি সিদ্ধ হয় তারপরে ওই খাবারগুলো খাবেন।মাছ মাংস বা শাকসবজি যেই খাবারই হোক পুরোপুরি সিদ্ধ করে ভালো করে রান্না করে খাবেন।আবার ফলমূল খাওয়ার সময় ভালো করে ভালো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে নিবেন।
আবার খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট থেকে আসার পরে অবশ্যই সাবান বা হ্যান্ডওহয়াশ দিয়ে দুই হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন।
কৃমি নাশক গাছ
সাধারনত যাদের পেটে প্রচুর পরিমাণে কৃমি তারা কিন্তু এই কৃমি নাশক পাতার রস
খেয়ে কৃমি দূর করতে পারেন।তাই কৃমি নাশক গাছ সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা
দেওয়া হবে।সাধারণত মানুষের পেটে নানান কারণে কৃমি হয়ে থাকে।তবে মানুষের পেটে
তো কৃমি না থাকলে কোনভাবেই হজম প্রক্রিয়া হবে না।
তবে এই কৃমির পরিমাণ যদি কোনভাবেই অনেকে বেশি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু তখন
আপনারা নানান রকম সমস্যায় পড়ে যাবেন।কারণ একটি জিনিস যদি শরীরে স্বাভাবিক
মাত্রায় থাকতে থাকতে যদি সেটা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে তখন কিন্তু শরীরের
নানান রকম ক্ষতি হয়ে থাকে।
এই ক্ষতিগুলো দূর করতে হলে অবশ্যই আপনাদের কৃমি নাশক ঔষধ খেতে হবে বা কৃমিনাশক
গাছের পাতার রস খেতে হবে তাহলে দেখবেন যে পেটে কোনভাবেই কৃমি থাকবে না আর যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে কৃমি থাকে তাহলে সেগুলো এই গাছের পাতাগুলো রস খাওয়ার মাধ্যমে
তখন মারা যাবে।তাই আপনারা আপনাদের কৃমি দূর করতে হলে অবশ্যই নিম পাতার রস
খাবেন।
সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস করে নিয়ে মধু মিশ্রণ করে খেয়ে নেবেন।তাছাড়া
যদি আপনারা এই রস এমনি খেতে পারেন তাহলেও কিন্তু আপনাদের পেটের কৃমি একেবারে
দূর হয়ে যাবে।কিন্তু এই নিম পাতার রস ভরা পেটে কোনভাবেই খাওয়া যাবে না অবশ্যই
আপনাদের সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেতে হবে।
কারণ নিম পাতার রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী তাই আপনাদের এটিই খেতে হবে
মাঝেমধ্যে।নিমের পাতার উপকার আছে শরীরে তাই বলে যে আপনারা অতিরিক্ত খেয়ে
ফেলবেন সেটাও কিন্তু করবেন না আমাদের আর্টিকেলে নিমপাতা খাওয়ার সব রকম
নিয়ম-কানুন দিয়ে দেওয়া আছে তাই আপনারা দেখে শুনে নিম পাতার রস খাবেন।
তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন কৃমি দূর করতে পারবেন।কৃমি দূর করার কিছু
গাছের নাম দেওয়া হলো:
- নিম গাছ
- আকন্দ গাছ
- ভৃঙ্গরাজ গাছ
গলায় কৃমি হলে করনীয়
সাধারণত নানান রকম কারণে গলাতেও আবার কৃমি হতে পারে।তাইতো আপনাদের গলায়
কৃমি হলে করনীয় কি এই সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হবে।সাধারণত অনেক
মানুষের দেখা যায় যে পেটের মধ্যে এত কৃমি যে সেই গলা পর্যন্ত উঠে চলে
আসে।পেটের মধ্যে প্রচুর কৃমি হয়ে গেলে কিন্তু তখন বমির সাথে কিন্তু কৃমি বের
হয়ে গেলে তখন কিন্তু মানুষ মারাও যেতে পারে।
কৃমি কিন্তু অনেক রকমের আছে।তাই আপনাদের এই কৃমি নির্বাচন করে তারপরে ঔষধ
খেতে হবে কারণ কৃমি যদি নির্বাচন করে ঔষধ খেতে না পারেন তাহলে কিন্তু পেটের
মধ্যে প্রচুর কৃমি হয়ে গেলে তখন আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এই ক্রিম
গুলো বেশি হওয়ার আগেই অবশ্যই আপনাদের অল্পতেই কৃমি দূর করতে হবে।
তাই আমরা আমাদের আর্টিকেলে নানান রকম কৃমিনাশক গাছ ও কৃমিনাশক ঔষধ এইসব দিয়ে
দিয়েছি আপনারা যেই কোন ভাবে দেখেশুনে পড়ে জেনে নিয়ে খেতে পারেন তাতে কোন
রকমের কোন সমস্যা নেই।যে জিনিসটা খাবেন অতিরিক্ত পরিমাণে কোনভাবেই খাবেন না
নিয়ম-কানুন মেনে খাবেন।
বড়দের কৃমি হওয়ার লক্ষণ
বড় মানুষ অনেক সময় কাজে কাম করে তারপরে ভালোভাবে হাত পা না ধুয়ে খাবার খেয়ে
ফেলে।বড়দেরও অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে কৃমি হয়ে থাকে।শুধু ছোটদের কৃমি হয়
তাই নয় অনেক সময় দেখা যায় যে বড়দের ও কৃমি হয়।বড়রা অবশ্যই নিয়ম-কানুন
গুলো মানে না এই কারণে আরো তাদের কৃমি হয়।
খাবার খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয় না।আবার অপরিষ্কার হয়ে
থাকে গোসল করে না অনেকদিন যাবত আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো পরিষ্কার করে না।তার
কারণে তাদের প্রচুর পরিমাণে কৃমি হয়ে থাকে।তাই আপনাদের অবশ্যই আমাদের
আর্টিকেলে দেওয়া নিয়ম-কানুন গুলো ও মানতে হবে তাহলে এই কৃমি থেকে মুক্তি
পেয়ে যাবেন।
আশা করছি, কৃমি ভালো করা বিষয়ক সব রকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই আমাদের
আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।বড়দের কৃমি
হওয়ার লক্ষণ কিছু নিচে দেওয়া হলো:
- খাবার খাওয়ার সময় হয়ে গেলেও খিদে না লাগা।
- শরীর প্রচুর পরিমাণে দুর্বলতা।
- হঠাৎ করে প্রচুর ওজন কমে যাওয়া।
- ঘন ঘন ডায়েরিয়া হওয়া এবং বমি বমি ভাব হওয়া।
শেষ মন্তব্য | অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় - বাচ্চাদের অতিরিক্ত কৃমি হলে করণীয়
কৃমি ভালো করতে অবশ্যই আমাদের দেওয়া আর্টিকেলের নিয়মগুলো সব ভালো ভাবে মানতে
হবে না হলে আপনাদের এই কৃমির সমস্যা কোনদিনই ভালো হবে না।কৃমির সমস্যা যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে তাহলে এটি দূর করতে আপনারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক
থেকে দু কুয়া রসুন খেতে পারেন।তাহলে দেখবেন যে কৃমি অনেকটাই কমে গেছে।
কারণ রসুন হচ্ছে কৃমিনাশক।আর যদি এইগুলো করে না ভালো হয় তাহলে ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী ছয় মাস অন্তর কৃমির ঔষধ খেতে হবে।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি
আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো স্বাস্থ্য
বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুণ এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার কারণে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url