আম রুপালি চাষ পদ্ধতি - আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে জানুন

মিষ্টি কুমড়ার ফলন বৃদ্ধির উপায়  

আম হচ্ছে খুব সুস্বাদু ফল আমের মধ্যে আম রুপালি বেশি সুস্বাদু তাই আম রুপালি চাষ পদ্ধতি জানতে হবে।আম রুপালি হচ্ছে আসলেই খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু ফল।আম গাছ কিন্তু সব জায়গাতে হয় না আমের জন্য বিখ্যাত শহর হচ্ছে রাজশাহী।তাই আপনি সুস্বাদ আম গাছ ফলাতে পারবেন।আবার আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে জানানো হবে।

আম হচ্ছে এমন একটি ফল যেটা পেট ভরে খেলেও কোন সমস্যা হয় না আবার এটি সব মানুষই প্রায়ই খেতে পারবেন।কিন্তু এটার চাষ পদ্ধতি খুব সহজ তেমন কঠিন কিছু না।শুধু আম গাছ লাগাবেন আর লাগানো থাকলে তা ভালো করে পরিচর্যা করলেই দেখবেন যে খুব ভালো ফল উৎপন্ন হচ্ছে।

আম রুপালি চাষ পদ্ধতি

আম রুপালি হচ্ছে সব আমের মধ্যে সেরা তাইতো আপনাদের আম রুপালি চাষ পদ্ধতি জানতে হবে।কারণে আম হচ্ছে সব থেকে খেতে ভালো সুস্বাদু রসালো এবং এতে কোন আঁশ নেই তাই এই ফল খেতে ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে।তাই তো আম রুপালি চাষ করার সব রকম নিয়ম-কানুন জানতে হবে আপনাদের।

এই গাছগুলো অন্য আম গাছের থেকে আলাদা একটু যত্নের ত্রুটি পড়লেই যেকোন ভাবে এই গাছগুলো মারা যেতে পারে।এই গাছের দামও কিন্তু আবার ব্যয় বহুল তাই সাবধানে গাছগুলো লাগাতে হবে এবং যত্ন করতে হবে।ভালো জমিতে ভালো মাটিতে এক মিটার গর্ত করে তাতে জৈব সার রাসায়নিক সার দিয়ে ভালোভাবে গাছটি লাগিয়ে হালকা পানি দিয়ে দিন।

তবে বর্ষাকালে গাছ লাগালে তো আর কোন কথাই নেই।এভাবেই যত্ন করবেন এবং আম গাছের সার ও পানি প্রয়োগ করবেন।

আম গাছের পরিচর্যা

আম গাছেরও কিন্তু নানান রকম রোগ হয় তাই এটিকে আপনাদের পরিচর্যা করতে হবে।তাই আম গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে হবে আপনাদের।তাছাড়া আম গাছ ভালো রাখতে পারবেন না এবং ফলন ও খুব একটা পাবেন না।১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার গভীর করে কিছু জৈব সার কিছু রাসায়নিক সার ব্যবহার করে তারপর আম গাছ লাগাতে হবে।

তারপরে গাছ যখন আস্তে আস্তে বড় হবে তখন পানি তো দিতেই হবে তার সাথে সাথে আরো কিছু সার দিতে হবে।মাটিতে যদি জোর না থাকে তাহলে এই সার দেওয়ার মাধ্যমে কিন্তু গাছ খুব ভালো হবে।আম গাছের নিচে গাছের গোড়ায় যে আগাছা গুলো জন্ম নেবে সেগুলোকে তুলে ফেলতে হবে।

আবার গাছের চারিদিকে গাছ থেকে ২ থেকে ৩ ধাপ দূরে গোল করে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার নিচে রাসায়নিক সার ও জৈব সার দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে পানি দিতে হবে।তাহলে এটাই হবে গাছের প্রধান পরিচর্যা তাহলে কিন্তু গাছও খুব শক্তিশালী হবে।আম গাছে আমের গুটি আসার সময় শুধু একটু ভিটামিন বা হরমোন প্রয়োগ করবেন তাহলেই আম ভালো হবে।

আম্রপালি হচ্ছে একটি খুব সুস্বাদু ফল তাই ছোট-বড় সকলেই এটি খেতে পারে।তাই আপনাদের আম্রপালি আম চাষ পদ্ধতি জানতে হবে।কারণ যদি আপনারা আম্রপালি ভালোভাবে চাষ করতে না পারেন তাহলে কিন্তু ভালো ফল আসবে না।তাই তো আপনাদের খুব গুরুত্ব সহকারে খুব ভালো জমি মাটি নির্বাচন করে এই আম্রপালি ফল গাছ লাগাতে হবে।

কমপক্ষে ১ মিটার গর্ত করে আম্রপালি চারা লাগান তাহলে দেখবেন যে এই গাছ হয়ে যাবে।তাছাড়া গর্তে জৈব সার ইউরিয়া,টিএসপি,পটাস,এমওপি,জিপসাম ও সাই এইগুলো দিয়েও লাগাতে পারেন তাহলে দেখবেন যে খুব ভালো ফলন পাবেন।এই আম গাছগুলো লাগানোর প্রায় ১ থেকে দেড় বছর পরই আপনি ফল পেয়ে যাবেন।

তাই এটি লাগানো যেমন সহজ তেমন সেচ ও সার খুব কম শুধু যত্ন করলেই ভালো ফলন পাবেন।

আম হচ্ছে সুস্বাদু ফল তাই সুস্বাদু মিষ্টি ফল সবাই কমবেশি খেতে পারে তাইতো বারি ৪ আম চাষ পদ্ধতি আপনাদের জানতে হবে।এই বারি ৪ আম খুব সুস্বাদু মিষ্টি হয়ে থাকে এতে কোন রকমের আষ থাকে না। আবার সাইজেও কিন্তু খুব বড় হয়ে থাকে এটি আবার সব রকম মাটিতেই কম বেশি হয়ে থাকে।বারি ৪ আমের গাছ হলো খুব বড় এবং খাড়া আকারের হয়।

এই বারি ৪ আম পেকে খেলেও খুব সুস্বাদু এবং রাসালো মিষ্টি আবার এই ফল কিন্তু কাঁচাও খাওয়া যায় তাতেও খুব মিষ্টি।তাই বারি ৪ আম বাজারে খুব চাহিদা তাই তো আপনাদের আবোল তাবোল গাছ না লাগিয়ে এই বারি ৪ জাতের আমের গাছ লাগানো শুরু করুন।নিচে বারি ৪ আম চাষ কিছু পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো:

• বারি ৪ আম গাছ জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাসে লাগানো খুব ভালো।
• বারি ৪ আম নামানোর সময় হলো আষাঢ় মাসের শেষের দিকে।
• চারা রোপনের দূরত্ব হলো ৮ থেকে ১০ মিটার।
• গর্তের আকার হলো ১ মিটার।

আম ফল হচ্ছে খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি জাতীয় ফল তাই এটি খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে থাকে।তাই আপনাদের আমের চারা রোপন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।কারণ যদি আপনারা আমের চারা রোপন পদ্ধতি বা আমের গাছের সার প্রয়োগ পদ্ধতি না জানেন তাহলে কিন্তু খুব বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে যাবেন।

তখন আর আম গাছের ভালো ফলনও পাবেন না তাই আপনাদের আম গাছের চারাগুলো ভালোভাবে ভালো মাটিতে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে লাগাতে হবে।গাছ লাগানোর পরে গাছের পরিচর্যা করতে হবে সার দিয়ে পানি দিয়ে গাছের গোড়ায় আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে ফেলে দিতে হবে।

সাধারণত আম গাছের চারা লাগাতে হয় জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে যা ইংরেজি মাস হলো (মে থেকে জুলাই) মাসের মধ্যে গাছ লাগাবেন দেখবেন যে খুব ভালোভাবে গাছ হয়ে গেছে অন্য মাস গুলোতে লাগালে কোন মাসে খরা বেশি কোন মাসে বৃষ্টি বেশি তখন আর কাজ ভালো হবে না তাই সময় অনুযায়ী গাছের চারা রোপন করুন।

আম চাষের সাথে সাথে কিন্তু আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি ও জানতে হবে আপনাদের।এই সার প্রয়োগ পদ্ধতি যদি না জানেন তাহলে আমের গুটি সব প্রায় ঝরে যাবে তখন আর কিছু করতে পারবেন না।তাই যখন আমের গুটি আসবে তখন প্রতি লিটার পানিতে ২০গ্রাম ইউরিয়া এবং প্রতি ৪ থেকে ৫ লিটার পানিতে যে কোন হরমোন মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করুন তাহলে দেখবেন যে এই আমের গুটি ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে।

আমের আরো ফলন বৃদ্ধি হয়ে যাবে তখন আপনারা বাজারজাত করে এবং বাড়িতে খেয়ে শান্তি পাবেন।তাছাড়া আরো একটি কাজ করতে পারেন গাছে ফুল আসার আগে গাছ থেকে ২৥ ৩ ধাপ দূরে পুরো গাছে গোল করে ১৫ থেকে ২০ সেমি গর্ত করে জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আমের ফুলও আসবে খুব ভালো এবং গুটিও ধরবে খুব ভালো।

আশা করছি, আম রুপালি বিষয়ক এবং আম বিষয়ক সব রকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।

আম হচ্ছে খুব সুস্বাদু মিষ্টি রসালো ফল তাই আপনাদের আমগাছ লাগাতে হবে গাছের পরিচর্যা করতে হবে এবং সার প্রয়োগ করতে হবে।তাছাড়া আম রুপালি ও বারি ৪ আমগুলো এমনি আমের থেকে আরো সুস্বাদু,তাই এই গাছগুলোরও একটু বেশি যত্ন করতে হবে নাহলে এই গাছগুলো আবার মারা যাই বেশি কারণ এই গাছের দাম ব্যয় বহুল।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো চাষ বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার কারণে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।