খরগোশ কামড় দিলে কি হয় - খরগোশ কিভাবে পোষ মানে জানুন

খরগোশ কামড় দিলে জলাতঙ্কের মতো কোন কঠিন রোগ হয় না।তাই খরগোশ কামড় দিলে কি হয় এটি জানানো হবে।সাধারণত জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় জলাতঙ্ক রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির লালা থেকে কামড় ও হাচড় থেকে।তবে খরগোশের শরীরে এমন এক তাপমাত্রা আছে যা জলাতঙ্কের মতো কঠিন ভাইরাসকে মেরে ফেলতে পারে।তাই এটা জানানো হবে খরগোশ কিভাবে পোষ মানে।

খরগোশ-কামড়-দিলে-কি-হয়

সাধারণত গৃহপালিত প্রাণীগুলোর মধ্যে কমবেশি সবারই প্রায় বিষ আছে তাই যদি কামড় দেয় বা হাচড় দেয়।অবশ্যই আপনাদের ভ্যাকসিন করা খুব দরকার।কিন্তু খরগোশের কামড়ানোতে কোন রকমের কোন কিছু হবে না কারণ এই খরগোশ জলাতঙ্কের মত খারাপ ভাইরাসকে মারতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ খরগোশ কামড় দিলে কি হয় - খরগোশ কিভাবে পোষ মানে জানুন

খরগোশ কামড় দিলে কি হয়

সাধারণত কুকুর বিড়াল কামড় দিলে জলাতঙ্ক রোগ হয়।তাই আপনাদের জানতে হবে খরগোশ কামড় দিলে কি হয়।খরগোশ কামড় দিলে অবশ্য কোন কিছুই হয় না শুধু একটু রক্ত বের হয়ে ঘা সৃষ্টি হতে পারে।কামড় দেওয়া স্থানে আপনাদের অবশ্যই ডেটল সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলে দিতে হবে তারপরে ডেটল তুলায় করে লাগিয়ে সেই স্থান ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে।
কিন্তু কোন রকমের বিষ লাগবে না শুধু দেখবেন যে সেই জায়গাটা যেন এই বিশাল ঘায়ে পরিণত না হয় তাহলে কিন্তু আস্তে আস্তে এটা ভালো হয়ে যাবে।খরগোশের গায়ে এমন একটা তাপমাত্রা আছে যেটা জ্বালাতঙ্কের মত ভয়ংকর ভাইরাসকেও মেরে ফেলতে পারে।তাই খরগোশকে যদিও কুকুর বিড়ায় কামড়ায় তাহলেও কিন্তু এদের শরীরে কোনভাবেই বিষ লাগে না।

খরগোশ কিভাবে পোষ মানে

খরগোশকে পোষ মানাতে হলে অবশ্যই আপনাকে খরগোশের জন্য ভালো জায়গা তৈরি করতে হবে।তারপরে ভালো খাবার দিতে হবে।কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা খরগোশ কিভাবে পোষ মানে এই সম্পর্কে কিছু জানে না।তাই খরগোশ পালন করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ঘর ব্যবস্থা করবেন তারপরে ঘরের পূর্ব মেজে পাকা করে নিবেন।

এই পাকার উপরে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি কাঠের গুড়া,কাঠের ছাল এবং খর কুচি কুচি করে কেটেও দিতে পারেন।তাহলে এখানে একসঙ্গে প্রায়ই ৩০ টি খরগোশ লালন পালন করতে পারবেন।এই খরগোশ এক সঙ্গে এতগুলো পালন করার মধ্যেই কিন্তু নারী-পুরুষ এদের আলাদা করে রাখতে হবে কারণ এরা খুব দ্রুত প্রজনন করতে থাকে তবে এটা ঠিক নয়।

কারণে এক সঙ্গে খরগোশ ৭ থেকে ৮টি করে বাচ্চা দেয়।তাই নারী-পুরুষ খরগোশ আলাদা করে পালন করাই উচিত।তাহলে দেখবেন যে আপনার পোষ মানাতেও সমস্যা নেই আবার এরা খুব ভালো থাকবে।

খরগোশ কত দিন বাঁচে

খরগোশ হচ্ছে গৃহপালিত প্রাণী তাই খরগোশ খুব লাজুক আকৃতির প্রাণী।তাই খরগোশ কত দিন বাঁচে এটা অনেকে জানে না।সাধারণত খরগোশ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।তাছাড়া এরা যদি কোন রোগে আক্রান্ত হয় বা কোন কিছুতে আক্রমণ করে মেরে ফেলে তাহলে কিন্তু এরা খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়।তবে খরগোশ হচ্ছে গৃহপালিত প্রাণী যেটা সবার সাথে মিশে বসবাস করতে পারে।

তাই আপনারা যেই প্রাণীটা আপনাদের বাড়িতে পালন করবেন সেটার অবশ্যই জন্ম মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।নাহলে যদি কোন ভাবেই মারা যায় তাহলে তো খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে যাবেন।তাই খরগোশ আপনাদের খুব ভালো প্রাণী এটি পালন করা ও ইসলামের দিক দিয়ে জায়েজ আছে তাই আপনারা সব নিয়ম-কানুন মেনে আমাদের আর্টিকেল থেকে জেনে নিয়ে পালন করা শুরু করুন।

খরগোশ কি খায়

খরগোশ হচ্ছে একটি তৃণভোজী প্রাণী তাই খরগোশকে ঘাস লতা পাতা যায় দিবেন সেটাই খাবে।তবে খরগোশ কি খায় সেই সম্পর্কেও ভালো ধারণা থাকা লাগবে আপনাদের।কেউ কেউ আছে যারা নতুন খরগোশ পালন করবে তারা তো কোনোভাবেই জানে না খরগোশের খাবারও বাসিস্থান সম্পর্কে।খরগোশকে দূর্বাঘাস ও কলমি শাক এই দুটি খাবার দিবেন।

তবে কলমি শাক সব সময় দেওয়া যাবে না মাঝে-মধ্যে দিবেন আর কি।কিন্তু দুর্বাঘাস প্রতিনিয়ত দিতে পারেন এটা কিন্তু তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য খুব ভালো ভিটামিন এবং পুষ্টিকর জাতের খাবার।তৃণভোজী সকল প্রাণীদের যদি এই দুর্বা ঘাস খাওয়ানো যায় তাহলে কিন্তু তাদের শরীর স্বাস্থ্য ও খুব ভালো থাকবে রোগ ব্যাধি কোন রকমের হবে না।আবার তারা দীর্ঘদিন যাবত বাচ্চা ও দুধ দিয়ে থাকবে।

খরগোশের গোসল

খরগোশকে কোনভাবেই গোসল করানো যাবে না।তবে যারা খরগোশের গোসল সম্পর্কে কিছু না জেনেই খরগোশকে গোসল করাই তাহলে কিন্তু মহা বিপদের মধ্যে পড়বে।অনেক মানুষ আছে দেখা যায় যে সাবান শ্যাম্পু দিয়ে খরগোশকে দিনে ২-৩ বার গোসল করায় এটা একেবারেই ঠিক নয় কারণ সাবান শ্যাম্পুতে থাকা কেমিক্যালের কারণে কিন্তু খরগোশের লোম উঠে যেতে পারে।

তাই খরগোশকে গোসল করানো কোনভাবেই ঠিক নয়।তবে যেগুলো গৃহপালিত বাসা বাড়িতে পালন করা হয় ১ থেকে ২ টি সেই খরগোশ গুলোর শরীর কিন্তু নানান ভাবে অপরিষ্কার হয়ে থাকে।তাই আপনি সেই খবরগুলোকে মাসে একবার শুধু পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন।তাহলে কোন রকমের সমস্যা হবে না খরগোশের।

খরগোশের বাসার ধরন

খরগোশ আপনারা যেকোনো জায়গায় পালন করতে পারবেন কারণ এই প্রাণীটা হচ্ছে যেকোনো জায়গায়ই থাকতে পারে।তাইতো খরগোশের বাসার ধরন সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।আপনারা একটা ৫ থেকে ১০ ফুট ঘর নিবেন তার মধ্যে মেঝেটা পাকা করে নিবেন।পাকা মেঝেতে কাঠের গুড়ি বা শুকনো খড় কুচিকুচি করে কেটে ৫ থেকে ৬ সেমি দিবেন।
তারমধ্যে প্রায় আপনারা ৩০টা মতো খরগোশ পালন করতে পারবেন।আবার অনেক মানুষকে দেখা যায় যে খাঁচার মধ্যেও কিন্তু খরগোশ পালন করে থাকে সেটাও কিন্তু আপনারা করতে পারবেন।এই প্রাণীকে যেখানেই রাখবেন সেখানেই ভালো থাকবে শুধু চাই এদের জন্য ভালো খাবার।খরগোশ হচ্ছে তৃণভোজী প্রাণী তাই এদের ঘাসপাতা যেটাই দেবেন সেটাই খেয়ে এরা থেকে যাবে।

খরগোশের খাদ্য তালিকা

খরগোশ হচ্ছে একটি তৃণভোজী প্রাণী তাই এই খরগোশকে আপনি যেই খাবার দিবেন সেটাই খেয়ে বেঁচে থাকবে এরা।এদের আয়ু কিন্তু অনেক দিন পর্যন্ত হয় তাই এদের খুব কমই দেখা যায় এই মৃত্যু হতে।এরা প্রতিদিন প্রায়ই ৯০ থেকে ১৫০ গ্রাম খাবার খেয়ে থাকে।খরগোশের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে কারণ শুধু ঘাসপাতা দিলে এদের উন্নতি খুব কম হতে পারে তাই আপনাদের এর খাদ্য তালিকাও কিছু নতুন খাবার যোগ করতে হবে।

তাহলে দেখবেন যে এই তৃণভোজী প্রাণীটি খাবার খেয়ে খুব ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চা উৎপাদন করবে খুব তাড়াতাড়ি।আশা করছি, খরগোশ বিষয়ক সবরকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।তাই নিচে খরগোশের কিছু খাদ্য তালিকা দেওয়া হলো:
  • সবুজ শাক-সবজি দিবেন।
  • দূর্বাঘাস দিবেন।
  • পালং শাক দিবেন।
  • গাজর ও মুলা দিবেন।
  • শসা দিবেন।
  • আর সবুজ যে কোন ঘাস দিবেন।

শেষ মন্তব্য | খরগোশ কামড় দিলে কি হয় - খরগোশ কিভাবে পোষ মানে

খরগোশ যেহেতু তৃণভোজী প্রাণী তাই এর কামড়ে কোন রকমের বিষ নেই।কিন্তু এর দেহে এমন একটি তাপমাত্রা আছে যেটা অনেক রকমের মারাত্মক বিষ এবং ভাইরাসকেও খুব দ্রুত ধ্বংস করে দিতে পারে।তাই খরগোশ কামড় দিলে কোন কিছুই হয় না আপনারা নিঃসন্দেহে এটি বাসা বাড়িতে লালন পালন করতে পারেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো প্রাণী বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url