পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪ - পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স জেনে নিন

শিশু জন্মের পরপরই ১ থেকে ২ মাসের মধ্যেই পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়।তাই পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪ গুলো জানতে হবে।পোলিও টিকা সাধারণত শিশু জন্মের পরপরই খাওয়ানো হয় এবং এই ডোজের পরপরই ৪ মাস বয়সে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।তবে এই পোলিও টিকা খাওয়া শিশুদের পক্ষে খুবই ভালো।এর সাথে সাথে পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স জানাতে হবে।

তবে শিশু জন্মের কিছু মাস পরে যত রকমের বড় ধরনের রোগ আছে সেগুলো টিকা দেওয়া হয়।চিকেনপক্স,হেপাটাইটিস ও হাম এই রোগ গুলোর টিকা দিয়ে দেওয়া হয় ছোট বাচ্চা থাকতে।তাই প্রতি বছর এপ্রিল মাসের ২৪ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে দেওয়া হয় পোলিও টিকা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪ - পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স জেনে নিন

পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪

পোলিও টিকা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ টিকা তাই এটি আপনার শিশুদের জন্মের পরপরই খাওয়ানো বা দেওয়া উচিত।তাই পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪ খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হবে আপনাদের।২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।সাধারণত শিশুর জন্মের ৬ সপ্তাহ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম দুটি ডোজ দিয়ে দেওয়া হয়।

তারপরে আবার কিছুদিন পর তৃতীয় ডোজ দিয়ে দেওয়া হয়।তারপরে শেষে একেবারে একটা থাকে বুস্টার ডোজ এটি দিলে একেবারেই ডোজ কমপ্লিট পুরোপুরি হয়ে যায়।তাই আপনাদের শিশুদের নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।কোনভাবে যদি এই পোলিও রোগ হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনারা প্রচুর সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন আপনাদের বাচ্চাদের নিয়ে।তাই আপনাদের বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পরপরই এই পোলিও টিকা দিয়ে নেবেন।পোলিও টিকা খাওয়ানোর কিছু নিয়ম দেওয়া হলো:
  • শিশু জন্মের ১থেকে ২ মাস পরে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। 
  • শিশুর বয়স যখন ৪ মাস তখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। 
  • তারপরে বয়স অনুযায়ী তারিখ দেখে তৃতীয় দেওয়া হয়। 
  • তারপরে ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে চতুর্থ দেওয়া হয়। 
  • তারপরে ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ব্লুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। 

পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স 

শিশু জন্ম নেওয়ার পরই কিন্তু পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়ে থাকে।তাইতো পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত একটি শিশু জন্ম নেওয়ার প্রায় ৬ বছর পর্যন্ত পোলিও টিকা খাওয়ানো হতে পারে।পোলিও রোগ হচ্ছে খুবই খারাপ তাই আপনারা যেকোন ভাবে পোলিও টিকা দিয়ে নেবেন।

তাহলে তখন দেখবেন যে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন কারণ পোলিও টিকা শিশুদের জন্য তাই শিশুদের যেকোনোভাবে করে নিতে হবে।আবার পোলিও টিকা খাওয়াতেও পারেন তাহলেও খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।তাইতো পোলিও টিকা খাওয়ানোর শিশুদের কিছু বয়স নিচে দেওয়া হলো:
  • শিশু জন্মের ১থেকে ২ মাস পরে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। 
  • শিশুর বয়স যখন ৪ মাস তখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। 
  • তারপরে বয়স অনুযায়ী তারিখ দেখে তৃতীয় দেওয়া হয়। 
  • তারপরে ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে চতুর্থ দেওয়া হয়। 
  • তারপরে ৪ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ব্লুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।  

পোলিও টিকা ২০২৪

পোলিও রোগ হচ্ছে এমন একটি রোগ যেটি হলে শরীরে নানান রকম রোগ এসে বাসা বাধে।তাছাড়া এটি শুধু বাচ্চাদের হয় তাইতো বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি টিকা দিয়ে দেওয়া হয়।এই পোলিও টিকা ২০২৪ আইন অনুযায়ী শিশু জন্মের পরপরই দুটি ডোজ দিয়ে দেওয়া হয় তারপরে ১৪ সপ্তাহ থেকে ৯ মাসের মধ্যে আরো একটি ডোজ দেওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে।

যদি আপনি এই ডোজটি কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে আর শেষে একটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে এই পোলিও টিকা শেষ করা হয় তাই আপনাদের খুব ভালোভাবেই জানিয়ে দেওয়া হলো যে পোলিও একটি মারাত্মক রোগ তাই আপনাদের এই পোলিও টিকা দেওয়া খুব জরুরী।পোলিও রোগের কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
  • গলা ব্যথা হবে।
  • প্রচন্ড জ্বর হবে।
  • প্রচুর পেট ব্যথা হবে।
  • বমি বমি ভাব হবে।
  • মাথা ঘুরবে ও মাথা ব্যথা করবে।

পোলিও টিকা কার্ড

এই টিকা কার্ড হচ্ছে শিশুদের জন্মের পর্যায়ে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয় তার সময়ই মাস তারিখ সব উল্লেখ করা থাকে।তাই আপনাদের পোলিও টিকা কার্ড খুব গুরুত্ব সহকারে রাখতে হবে এই পোলিও  টিকা শেষ হওয়া পর্যন্ত।আপনাদের শিশুর জন্মের পরপরই তো পোলিও টিকা দিতে হবে এই টিকার সাথে সাথে আপনাকে একটা হলুদ কালারের কার্ড দেবে এই কার্ডটি আপনাকে খুব যত্ন সহকারে রাখতে হবে।

এটি যদি হারিয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু সমস্যার মধ্যে পড়বেন কারণ কোন মাসের কোন বারে পোলিও টিকা দিয়েছিলেন তা মনে রাখা খুব কঠিন তাই এই কার্ডে লিখে দিয়ে দেওয়া হয়।তখন যদি আপনারা এই কার্ডটি ভালোভাবে রাখতে পারেন তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।

পোলিও-টিকা-কার্ড

পোলিও টিকা খাওয়ানোর নিয়ম

পোলিও টিকা হচ্ছে শিশুদের জন্য খুব ভালো একটি টিকা তাই আপনাদের যেভাবেই হোক।এই পোলিও টিকা খাওয়ানো খুব দরকার কারণ পোলিও টিকা খাওয়ানোর নিয়ম আছে কিছু।সেই নিয়মগুলো জেনে যদি আপনারা এই পোলিও টিকা খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।কারণ পোলিও রোগের কারণে অনেক শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাই আপনাদের জানতে হবে যে পোলিও টিকা খাওয়ালে কি উপকার হয়।
শিশু জন্মের পরপরই ২মাসের মধ্যে এই একটি ডোজ দিয়ে দেওয়া হয় তারপরে ৪ মাস বয়সী শিশুকে দ্বিতীয় রোজ দেওয়া হয়।আবার ৬ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুকে তৃতীয় ডোজটি দেওয়া হয়।আর ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুকে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়।এটাই হচ্ছে খুব ভালো নিয়ম আপনারা এই নিয়ম-কানুন মেনে পোলিও টিকা দিবেন।

পোলিও টিকার ডোজ কয়টি 

সাধারণত ছোট বাচ্চাদের পোলিও রোগ হলে কিন্তু বাচ্চারা কোনভাবেই বাঁচে না।তাইতো পোলিও টিকা দেওয়াটা খুবই জরুরী তাই পোলিও টিকার ডোজ কয়টি এটি আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত পোলিও টিকার ডোজ ৪টি তবে কেউ আছে আবার বেশি করে নিতে পারে।তবে ছোট শিশুদের পক্ষে পোলিও টিকা ৪টি দেওয়াই অনেক ভালো।

তাই আপনারা দেখে শুনে এই পোলিও টিকা ভালোভাবে তারিখে দেখে সময় বুঝে বাচ্চাদের করে নেবেন তাহলে ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।তাছাড়া আপনারা যদি এমনি রেখে দেন তখন কিন্তু মহা বিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন।তাইতো অবশ্যই খুব গুরুত্ব সহকারে পোলিও টিকা দিয়ে নিতে হবে। 

পোলিও টিকার ক্ষতি

পোলিও টিকা হচ্ছে এক ধরনের ভ্যাকসিন যা আপনার শরীরকে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখবে।কারণ শিশু জন্ম নেওয়ার পর পরই কিন্তু তাদের শরীরে নানান রকম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে থাকে।এই কারণে তাদের বড় বড় রোগ গুলোর ভ্যাকসিন বা টিকা দিয়ে দেওয়া হয়।তাই পোলিও টিকার ক্ষতির দিক আছে কিছু।

এই টিকা দেওয়ার সাথে সাথে গলা ব্যথা,বমি,জ্বর,মাথা ব্যথা ও পেট ব্যথা ইত্যাদি রোগ হতে পারে।তাই তখন আপনাদের নানান রকম ঔষধ খেতে হবে বা খাওয়াতে হবে।এই পোলিও টিকার তেমন কোন ক্ষতি নেই এই রোগ গুলো যদিও হয় তাহলেও খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।তাই আপনাদের এই দিকগুলো বিবেচনা করার কোন দরকার নেই পোলিও টিকাটি দেওয়াটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।পোলিও টিকা নেওয়ার পর কি ক্ষতি হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
  • পোলিও টিকা যেস্থানে দেবে সেই স্থান ব্যথা হতে পারে। 
  • বাচ্চাদের শরীরে হালকা জ্বর আসতে পারে। 
  • দীর্ঘস্থায়ী কাঁধে ব্যথা পেতে পারে। 
  • আরো কিছু সমস্যা হতে পারে।তবে সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে। 

পোলিও টিকার নাম কি

পোলিও টিকা হচ্ছে এক ধরনের ভ্যাকসিন যা শরীরে দিলে নানান রকম অসুবিধা হতে পারে।কিন্তু সেইগুলো আবার ভালো হয়ে যাবে খুব সহজেই।তাই আপনাদের পোলিও টিকার নাম কি তা জানতে হবে।পোলিও টিকার নাম হলো ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন (opv) একটি বিশেষ ধরনের টিকা।যা শরীরের নানান রকম ভাইরাস ও ব্যকটেরিয়া দূর করে থাকে।

আবার বড় ধরনের রোগ পোলিও রোগ এই রোগের বিশেষ কার্যকার করে থাকে।তাই এই পোলিও টিকা শরীরে দেওয়া বা খাওয়া আপনাদের জন্য খুবই ভালো।তাই আপনারা এই পোলিও টিকা নিঃসন্দেহে খেতে পারেন আবার শরীরে দিতেও পারেন।ছোট বাচ্চাদের জন্য পোলিও খাওয়া যায় আবার টিকাও আছে কিন্তু বড় মানুষের জন্য পোলিও টিকা দিতে হবে।

আশা করছি পোলিও রোগ এবং পোলিও টিকা বিষয়ক সব রকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেল পড়ে আপনাকে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

শেষ মন্তব্য | পোলিও টিকা খাওয়ানোর তারিখ ২০২৪ - পোলিও টিকা খাওয়ানোর বয়স

পোলিও রোগ হওয়া কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার নয় এটি যদি একবার হয় তাহলে খুব সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন।এই পোলিও রোগ কিন্তু আবার ছোট বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণে হয়।তাই জন্মের পরপরই কিন্তু পোলিও টিকা দেওয়া আপনাদের শিশুদের জন্য খুব কার্যকারী।তাই আপনারা যারা কিছু জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে ভালোভাবে নিয়ম-কানুন জেনে আপনার শিশুকে অবশ্যই এই পোলিও টিকা দিয়ে নিন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো রোগ বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url