বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম - বাসক পাতার উপকারিতা জানুন
এই বাসক পাতা হচ্ছে মানবদেহের জন্য উপকারী পাতা তাই বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আপনাদের কিছু তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।সাধারণত বাসক পাতার রস খেলে
সর্দি-কাশি দূর হয়ে যায়।তাইতো যাদের সর্দি-কাশি লেগে আছে বা ঘন ঘন সর্দি কাশি
হয় তারা সকালে খালি পেটে বাসক পাতার রস করে খেয়ে নিন।তাই বাসক পাতার উপকারিতা
সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাসক পাতার রস খাওয়া কিন্তু মানব দেহের জন্য প্রচুর উপকারী কারণ এটি কাশ সর্দি
ভালো করে থাকে।আবার গলার সমস্যা দূর করে ফুসফুস ভালো রাখে তাই আপনাদের এই বাসক
পাতার রস যেকোনভাবেই খেতে হবে।তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।তবে এই পাতা রস
করে খাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম - বাসক পাতার উপকারিতা জানুন
বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত যাদের অল্পতেই সর্দি হয় বা ঠান্ডা লেগে যায় তারা কিন্তু এই বাসক পাতার
রস খেতে পারেন।তাইতো বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা
দেওয়া হবে।সাধারণত বাসক পাতা আপনারা এমনিতেই খাবেন না এটির রস করে মধুর সঙ্গে
মিশ্রণ করে খেয়ে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
তাহলে দেখবেন যে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন কারণ বাসক পাতা হচ্ছে একটি ঔষধি
গুনসম্পূর্ণ উপকারী পাতা তাই আপনারা যদি এটি খান তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে
যাবেন।তবে এই বাসক পাতার রস খাবেন পরিমাণ মতো অতিরিক্ত যদি খান তাহলে কিন্তু বমি
বমি ভাব বা বমি হয়ে যেতে পারে।
তাইতো যেকোনদিন খেতে হলে অবশ্যই আপনাদের নিয়ম-কানুন মেনে খেতে হবে নাহলে যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তখন কিন্তু মহা বিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন।
বাসক পাতার উপকারিতা
বাসক পাতা ঔষধি গুনসম্পন্ন পাতা হওয়ায় এই বাসক পাতার রসের খুব উপকার।তাইতো বাসক
পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।বাসক পাতা হচ্ছে ঔষধি
গুণসম্পন্ন পাতা তাই আপনারা যারা এখনো খান না তারা অবশ্যই এই পাতা খেতে
পারেন।তাতে কোন রকমের কোন ক্ষতি নেই কারণ এটি প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন হওয়ায় এতে
কোন রকমের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তাই আপনারা যারা এখনো জানেন না এই বাসক পাতা খাওয়ার গুনাগুন সম্পর্কে তারা
অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল পড়ে খুব ভালোভাবে জেনে নিন।কারন আমরা আমাদের আর্টিকেলে
খুব ভালোভাবেই দিয়ে দিয়েছি বাসক পাতা খাওয়ার সব রকম নিয়ম-কানুন এবং গুনাগুন
সম্পর্কে।
তাই এই পাতা আপনারা অবশ্যই সকালে খালি পেটে মধু দিয়ে বাসক পাতার রস খাবেন তাহলে
দেখবেন যে খুব দ্রুত কাশ সর্দি ভালো হয়ে যাবে এবং জমে থাকা কফগুলো তরল করে বের
করে দেবে খুব দ্রুত।
বাসক পাতার ঔষধি গুনাগুন
বাসক পাতা হচ্ছে একটি ঔষধি পাতা তাই আপনারা এটি নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।এই বাসক
পাতা আবার এমনি খাবেন না এই পাতার রস করে খাবেন।তাই বাসক পাতার ঔষধি গুনাগুন
সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।এই বাসক পাতা রস খেলে দেখবেন যে কাশ
সর্দি একেবারে দূর হয়ে যাবে আবার যত রকমের জমে থাকা কফ সেই গুলো বের হয়ে যাবে।
কিন্তু এই বাসক পাতা উপকারি পাতা বলে এটি আবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না
কোনভাবেই।এই পাতার রস যদি আপনারা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু বমি বমি ভাব
বা বমি হয়ে যেতে পারে।তাই এটি কোনভাবেই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।আবার এই পাতার
রস বা পাতা পানির জীবাণুমুক্ত করে থাকে।
হাত পা ফুলে গেলে তা ভালো করতে সাহায্য করে এই বাসক পাতা আবার ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই বাসক পাতা।তাই আপনারা এই বাসক পাতার রস যেই কোন ভাবেই
ব্যবহার করতে পারেন তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না।আপনার এটি হালকা পরিসরে
ব্যবহার করবেন।
বাসক পাতার ব্যবহার
এই বাসক পাতা হচ্ছে একটি ঔষধি
গুনসম্পন্ন
পাতা তাই আপনার বাসক পাতার ব্যবহার করতে পারেন।এই বাসক পাতার রস আপনারা
খেতেও পারেন আবার হাত পা ফুলে গেলে সেটাতেও ব্যবহার করতে পারেন।তাহলেও দেখবেন যে
খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।আবার দেখা যায় যে কোন এলাকার পানিতে অনেক বিভিন্ন
প্রকার জীবাণু থাকে সেইগুলো দূর করতে আপনারা এই বাসক পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
সাধারণত বাসক পাতার রস খেলে বুকের ভিতর জমে থাকা যত কফ আছে সবগুলো কিন্তু খুব
দ্রুত তরল করে বের করে দেয়।তাছাড়া এই বাসক পাতার রস দিয়ে আবার কিন্তু কাশের
সিরাপ তৈরি হয়ে থাকে তাই কাশের সিরাপটা যদি আপনারা খেতে পারেন তাহলেও কিন্তু একই
উপকার পেয়ে যাবেন।তাছাড়া চামড়ার রং উজ্জ্বল করতেও কিন্তু এই বাসক পাতা ব্যবহার
করা হয়ে থাকে।
বাসক পাতার সিরাপ
সাধারণত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং অল্পতেই কাশ সর্দি হয় তারা কিন্তু
যেকোন ভাবে বাসক পাতার সিরাপ খেতে পারেন।তাহলে দেখবেন যে খুব ভালো উপকার পেয়ে
গেছেন কারণ বুকের ভিতর জমে থাকা কফগুলো কিন্তু যদি আপনি বের করতে না পারেন তখন
কিন্তু আপনারা নানান রকমের সমস্যা সৃষ্টি হবে।
প্রথম সমস্যা হলো কাশ তাড়াতাড়ি ভালো হবে না তখন কিন্তু আপনি প্রচুর বিপদের
মধ্যে পড়ে যাবেন।তাই আপনাদের যে কোনভাবে বাসক পাতার রস বা বাসক পাতার সিরাপ
খেতে হবে তাহলে কিন্তু খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।বাসক পাতা খেয়ে যদি উপকার
পেয়ে যান তখন কিন্তু খুব ভালো লাগবে কারণ এটি একটি ঘরোয়া উপায় তাই আপনাদের এটি
দেখে শুনে পালন করতে হবে।
বাসক পাতা গাছের ছবি
সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা বাসক পাতা গাছের ছবি সম্পর্কে অনেক জায়গায় সার্চ
করে খুঁজে বেড়াই।কিন্তু সঠিক তথ্য কোনোভাবেই কোন জায়গায় সেই ভাবে পাই না তাই
আমরা আমাদের আর্টিকেলে সঠিক নিয়মে খুব ভালোভাবে সঠিক ছবিটাই দিয়ে দিলাম।তাই
আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে নেবেন এবং দেখে নেবেন।নিচে বাসক পাতার
ছবি দেওয়া হলো:
আশা করছি, বাসক পাতার রস খাওয়া সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি।তাই এই
আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।
শেষ মন্তব্য | বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম - বাসক পাতার উপকারিতা
বাসক পাতায় একটি ঔষধি গুনসম্পূর্ণ পাতা এই পাতার রসে যেমন উপকার আছে তেমন কিন্তু
সিরাপ যদি খান তাহলেও কিন্তু ঠিক ওই রকমই উপকার পেয়ে যাবেন।বাসক পাতার রস খেলে
দেখবেন যে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন কারণ এই পাতা হচ্ছে ঔষধি গুনসম্পন্ন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার
করবেন এবং আরো খাবার বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ফলো করে রাখুন এতক্ষন
আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url