বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় - বিড়ালের খাবার তালিকা জানুন

সাধারণত বিড়াল মানুষের গৃহে পালিত হয়ে থাকে।তাই বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হবে।বিড়াল গৃহে পালিত হওয়ার কারণে এই প্রাণীকে অবশ্যই গৃহপালিত প্রাণী বলা হয়ে থাকে।আবার এটি অনেকে শখের বসে বাড়িতে লালন-পালন করে থাকে।তাই আপনাদের অবশ্যই বিড়াল সম্পর্কে সবকিছু জানতে হবে।এর সাথে সাথে বিড়ালের খাবার তালিকা বলে দেওয়া হবে।

বিড়ালের-বয়স-বোঝার-উপায়

বিড়াল যেহেতু মানুষের আশপাশে বাড়িতে,লালিত-পালিত হয়ে থাকে তাই সবাই এই বিড়ালকে খুব ভালোবাসে পছন্দ করে।বিড়াল আবার বাড়ির ফেলে দেওয়া মাছের কাঁটা মাংসের হাড় এসব খেয়ে থাকে বাড়ির আবর্জনা কিছুটা হলেও পরিষ্কার করে থাকে।তাই বিড়ালকে সবাই পছন্দ করে থাকে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় - বিড়ালের খাবার তালিকা জানুন

বিড়ালের বয়স বোঝার উপায়

সাধারণত বিড়ালের বয়স বুঝতে পারবেন আপনারা তাদের গঠন বা আকৃতি দেখে।তাই বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।বিড়াল অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রাণী।এই প্রাণী খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে।এই প্রাণীটিকে অনেক মানুষ আছে যারা পালন করতে পছন্দ করে থাকে।তাইতো আপনাদের এই প্রাণীর বয়স বোঝার উপায় কিছু জানিয়ে দেব।
কারণ এই প্রাণীর বয়স বুঝতে হলে অবশ্যই তাদের দেহের আকার আকৃতি দেখতে হবে।তাহলে আপনারা একা একাই বুঝে নিতে পারবেন যে এই বিড়ালের বয়স কত দিন বা কত বছর।সাধারণত ১১ বছরের উপরে থাকা বিড়ালকে ভালো এবং যুবক বিড়াল বলা হয়।আর ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিড়ালকে বয়স্ক বা বুড়ো বিড়াল বলা হয়ে থাকে।

তাই আপনারা যেকোনো ভাবেই বুঝে নিতে পারবেন যে এটা কত বছর বয়সি বিড়াল।বিড়ালের আকার আকৃতি গঠন চলাচল দেখেই।

বিড়ালের খাবার তালিকা

বাসা বাড়িতে যেকোনো খাবার বিড়াল খেয়ে থাকে তবে বিড়াল নাকি আপনারা ভালোবেসে যদি অতিরিক্ত কিছু খাবার খাওয়ান তাহলে কিন্তু বিড়াল খুব তাড়াতাড়ি মোটা এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে যাবে।বিড়াল হচ্ছে একটি গৃহপালিত খুব সুন্দর প্রাণী।এই প্রাণী মানুষের বাড়িতে লালিত পালিত হয়ে থাকে আবার সুন্দরভাবে বাচ্চাও দেয় এরা।

এরা বাড়ির অতিরিক্ত খাবার খেয়ে বাড়ি পরিষ্কার এবং সুন্দর করে রাখে তাইতো আপনাদের অবশ্যই এই বিড়াল পালন করা উচিত।তবে এই বিড়াল পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে পুরোপুরি হালাল।তাই আপনারা নিঃসন্দেহে বিড়াল পালন করতে পারেন।নিচে বিড়ালের খাবার তালিকা দেওয়া হলো:
  • মাংস খাওয়াতে পারেন
  • দুধ খাওয়াতে পারেন
  • ডিম খাওয়াতে পারেন
  • মিষ্টি কুমড়া খাওয়াতে পারেন।
  • পালং শাক খাওয়াতে পারেন।
  • রুটি খাওয়াতে পারেন।
  • আপেল খাওয়াতে পারেন।
  • তরমুজ খাওয়াতে পারেন।
  • কলা খাওয়াতে পারেন।
  • চকলেট খাওয়াতে পারেন।

বিড়ালের জাত চেনার উপায়

সাধারণত বিড়াল অনেক রকম জাতের হয়ে থাকে তাই বিড়ালের জাত চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।বিড়াল হচ্ছে খুব সুন্দর এবং ভালো একটি প্রাণী তাই এই পালন করতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে।তবে তারা কোনভাবেই জানে না যে কোন জাতের বিড়াল তারা পালন করে থাকে।বিড়াল দেশি এবং বিদেশি হয়ে থাকে।

দেশি বিড়াল গুলো দেখতে সুন্দর হয় আবার একটু বড় জাতের হয়ে থাকে।এরা মানুষের বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে এবং বাচ্চা দিয়ে থাকে।কিন্তু বিদেশি যাদের বিড়াল আকারে ছোট হয় এবং খুব সুন্দর হয় দেখতে।এই বিড়াল গুলো যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না এই বিড়ালগুলো কিনে নিয়ে পালন করা হয়ে থাকে।

তবে আপনারা এই বিড়াল গুলোর চেহারা হাত পা দেখেই বুঝতে পারবেন যে কোন বিড়াল বিদেশি কোন বিড়াল দেশি।তবে আরো বেশি চিনতে পারবেন শরীরের পশম দেখে কারণ দেশি বিড়ালের পশম একেবারে ছোট হয় আর বিদেশী বিড়ালের পশম বড় বড় হয়।তাই এগুলো দেখে আপনারা বিড়ালের জাত নির্বাচন করতে পারবেন।

বিড়ালের বাচ্চা কতদিন মায়ের দুধ খায়

সাধারণত অনেকদিন যাবত বিড়ালের বাচ্চা দুধ খেয়ে থাকে।তাই বিড়ালের বাচ্চা কতদিন মায়ের দুধ খায় এই সম্পর্কে আপনাদের বলা হবে।বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে যদি কোন রকমের সমস্যা না হয় তাহলে বিড়ালের বাচ্চা ৭ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ খেয়ে থাকে।৭ মাস পরে কিন্তু বাচ্চা একা একাই দুধ খাওয়া থেকে সরে চলে আসে।

এখন তারা এমনি খাবারগুলো খেয়ে থাকে ভাত মাছ মাছের কাঁটা মাংস মানুষের হাড় ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকে।বিড়াল কিন্তু শখের প্রাণী তাই সবাই পালন করে থাকে অনেক মানুষ আছে যারা বাসা বাড়িতে অনেকভাবে লালন পালন করে থাকে।তবে এই প্রাণীটা হচ্ছে গরু ছাগলের মত এক প্রকার গৃহপালিত প্রাণী।

কিন্তু বিড়াল কামড় দিলে বা হাচড় দিলে বিষ লেগে যাবে তাইতো আপনাদের ১ সপ্তাহের মধ্যেই ভ্যাকসিন করা উচিত।

বিড়াল মোটা করার উপায়

সাধারনত বিড়াল বাড়ির খাবার খেয়ে থাকে তাই বিড়াল মোটা করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলা হবে।অনেকে এই ব্যাপারে জানে না তাই তাদের খুব ভালোভাবেই জানিয়ে দেওয়া হলো।সাধারণত বিড়ালকে আপনারা পুষ্টিকর সুষম খাদ্য খাওয়ালে দেখবেন যে বিড়াল খেয়ে মোটা হয়ে যাবে।

যা তৈরি হয় মুরগির মাংস ও মাছ দিয়ে এতে থাকে ৩০% প্রোটিন এবং ২০% চর্বি যা খাওয়ালে বিড়ালের শরীরকে মোটা করতে খুব দ্রুত কার্যকারী।এটি বিড়ালের জন্য খুব আকর্ষণীয় একটি খাবার এবং এটি খুবই সহজেই হজম যোগ্য যেটা খাওয়ালে বিড়াল খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে যাবে।তাই আপনারা যারা বিড়াল পালন করে থাকেন তারা অবশ্যই এই খাবারটা খাওয়াতে পারেন।

তাহলে দেখবেন যে বিড়াল খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ সবল এবং মোটা হয়ে উঠবে তখন আপনাদেরও ভালো লাগবে।

বিড়ালের হিট কমানোর উপায়

সাধারণত বিড়াল যখন হিটে আসে বা বাচ্চা ধারণক্ষমতা সময় হয় তখন কিন্তু বোঝা যায়।তাই বিড়ালের হিট কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা দেওয়া হবে।বিড়াল যদি অত্যন্ত হিটে আসে তাহলে কিন্তু ডাকাডাকি করবে এদিক থেকে ওদিকে ছোটাছুটি করবে।বাচ্চা ধারণ করার কারণে তারা অনেক কিছু করে বাড়াবে।

তখন আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে বিড়াল হিটে চলে এসেছে তাইতো আপনাদের বিড়ালের সবগুলো নিয়ম-কানন জেনে তারপর বিড়াল পালন করা উচিত।তাই বিড়াল যদি অত্যন্ত হিটে চলে আসে তাহলে আপনারা পুরুষ বিড়ালের কাছে নিয়ে যেয়ে ছেড়ে দেবেন।তাহলে দেখবেন যে তারা সুন্দরভাবে মিলন করার পরে একেবারেই হিট কমে যাবে তখন তারা পরস্পরের একেবারে ভালো হয়ে যাবে।তাই আপনাদের এই কারণগুলো জানলে বিড়াল পুরোপুরি পালন করতে পারবেন।

বিড়াল কত বছর বাঁচে

বিড়াল প্রায় অনেক বছর বেঁচে থাকে তাই বিড়াল কত বছর বাঁচে এই সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।সাধারণত বিড়ালের গড় আয়ু ১৩ থেকে ১৪ বছর তবে আপনারা যদি বিড়ালের একটু খুব ভালো যত্ন করতে পারেন তাহলে বিড়াল ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।তখন দেখবেন যে বিড়াল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি প্রানী তাই এটি বাসা বাড়িতে থাকে এটি পালন করতে হলে অবশ্যই আপনাদের ভালো খাবার ভালো জায়গায় রাখতে হবে।
তাহলে দেখবেন যে বিড়াল অনেকদিন বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে।তবে আপনারা যারা বিড়াল পালন করে থাকেন তাদের অবশ্যই বিড়ালকে প্রথমত যত্ন করতে হবে তাহলে দেখবেন যে তাড়াতাড়ি আপনার পোষ মেনে নেবে।আবার কোনভাবেই আপনাকে কামড়াবে না আপনার বাড়িতে আপনার আশপাশেই থাকবে।তাই বিড়াল দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বিড়ালের যত্ন করাটা খুব দরকার।

বিড়াল কত বছর বয়সে বাচ্চা দেয়

সাধারণত বিড়ালের বয়স হওয়ার পরপরই বিড়াল বাচ্চা দিয়ে থাকে।তাই বিড়াল কত বছর বয়সে বাচ্চা দেয় এই সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়া হবে।কারণ বিড়াল সাধারণত ১ থেকে দেড় বছর বয়সে হলেই বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা হয়ে যায়।তখন তারা খুব তাড়াতাড়ি হিটে চলে আসে এসে মিলন করার ফলে বাচ্চা ধারণ করে থাকে পেটে।

পেটে বাচ্চা ধারণ করার পর ৬০ থেকে ৬৫ দিন পর বিড়াল বাচ্চা দিয়ে থাকে।তাই আপনাদের এই বিড়াল সম্পর্কে সব রকম টিপস জানা উচিত।নাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন না যে কখন কোন সময়ে বাচ্চা ধারণ করবে এবং বাচ্চা দিয়ে থাকবে বিড়াল।আশা করছি, বিড়াল বিষয়ক সবরকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাকে কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।

শেষ মন্তব্য | বিড়ালের বয়স বোঝার উপায় - বিড়ালের খাবার তালিকা

বিড়াল হচ্ছে গৃহপালিত প্রাণী এবং বিড়াল খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রাণী তাই এই বিড়াল পালন করতে সবাই পছন্দ করে থাকে।আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বিড়াল অনেক মানুষের বাসা বাড়িতে লালিত পালিত হয়ে থাকে।তাই আপনারা যারা বিড়াল সম্পর্কে কোন কিছু জানেন না বা কোন ধারনা নেই তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে নিন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো প্রাণী বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url