অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম - অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

সাধারণত অর্জুন গাছ হচ্ছে খুব উপকারী গাছ।তাইতো অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।যাদের হার্টের সমস্যা আছে বা হার্ট দুর্বল তারা এই অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন বা অর্জুন ছালের গুড়া খেতে পারেন।তাইতো অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হবে।

অর্জুন-ছালের-গুড়া-খাওয়ার-নিয়ম

অর্জুন গাছ হচ্ছে একটি ঔষধি গাছ তবে এই গাছের ছাল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।আপনারা যারা হার্টের রোগী তারা কিন্তু অর্জুনের ছাল খেতে পারেন তাহলে দেখবেন যে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।কারণ অর্জুনের ছাল মানব দেহের জন্য এতটাই উপকারী যে ডাক্তারের এটি খেতে বলে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম - অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম

অর্জুন ছাল খেতে হলে অবশ্যই আপনাদের সকাল সন্ধ্যা খেতে হবে তাহলে খুব উপকার পেয়ে যাবেন।তাইতো অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।অনেক মানুষ আছে যারা খেতে চায় কিন্তু কোন ভাবে খাবে সেই নিয়ম গুলো জানে না।প্রথমে অর্জুন গাছের ছাল পিসপিস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নেবেন ভালোভাবে তারপরে গুড়ো করে নেবেন।
দিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা গ্লাস পানির মধ্যে ২ চামচ অর্জুন ছালের গুড়া দিয়ে গুলিয়ে খেয়ে নেবেন।আবার রাতের খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে খেয়ে নেবেন।এভাবে খেতে থাকবেন ৩ থেকে ৪ মাস তাহলে আপনার ভেতরে যেই সমস্যাগুলো আছে সব একেবারেই খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

অর্জুন গাছের ছাল হচ্ছে খুব উপকারী একটি ছাল তাই আপনারা যদি এটি প্রতিনিয়ত খেতে পারেন তাহলে কিন্তু শরীরে খুব ভালো প্রকার পেয়ে যাবেন।

অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা

সাধারণত অর্জুন গাছ হচ্ছে মানব দেহের জন্য একটি উপকারী গাছ।তাইতো অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।অর্জুন ঔষধি গাছ বা এর ছাল আপনারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তখন কিন্তু নানা রকম বিপদে পড়তে পারেন।

তাই কোন ঔষধি গাছ বা লতা-পাতা এগুলো অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না পরিমাণ মতো দেখে শুনে খেতে হবে।কারণ যেটার উপকার আছে সেটার কিন্তু আবার ক্ষতির দিকও আছে।

উপকারিতা
অর্জুনের ছাল পানিতে ভিজিয়ে খেলে শরীরের যত রকমের ভাইরাস আছে দূর করে দেয়।আবার যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা কিন্তু সকাল সন্ধ্যা অর্জুনের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেতে পারেন।তাছাড়া শুকিয়ে গুড়ো করে নিয়ে ২ চামচ আধা গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে সকাল সন্ধা খেতে পারেন তাতে হার্টের রোগ একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

অর্জুনের ছালের কিছু উপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
  • অর্জুনের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  • চুলের উন্নতি করে।
  • কাশির উপশম করে।
  • মেদ বা ভুড়ি দূর করে থাকে।
  • মধুমেহ দূর করে।
  • ত্বকের যত্ন হয়।
  • প্রসাবের বাধা দূর করে।
  • হৃদরোগ বা হার্টবিট এর সমস্যা দূর করে।

অপকারিতা
যে কোন ঔষধি খাবার যদি আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।তাইতো যে কোন খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না কোনভাবেই।যদি আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে কিন্তু এর ক্ষতির দিক আছে।অর্জুন ছালের কিছু অপকারিতা নিচে দেওয়া হলো:
  • গর্ভবতী মহিলাদের কোনভাবেই অর্জুনের ছাল খাওয়া যাবে না।কারণ অর্জুনের ছাল খেলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অর্জুনের ছাল খাওয়া যাবে না।
  • সাধারণত আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অর্জুনের ছাল খাওয়া উচিত।

অর্জুন ফলের উপকারিতা

সাধারণর অর্জুন গাছের ছাল খেলে মানবদেহে অনেক এরকমের উপকার করে থাকে।তাছাড়া শুধু অর্জুন গাছের ছালই নয় মানবদেহে অর্জুনের ফল খেলে উপকার পাওয়া যায়।তাইতো অর্জুন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।অর্জুনের ফল দিয়ে মুখের যত সমস্যাগুলো আছে সবকিছু দূর করা যায়।

মুখে বা জিহ্বায় ঘা হলে ভাইরাস ধরলে সেগুলো দূর করা যায়।আবার দাঁতের সমস্যা,দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হলে তখন অর্জুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তাই আপনারা যেকোন ভাবে অর্জুনের ছাল বা অর্জুনের ফল খাবেন তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।

অর্জুন গাছের ছবি

সাধারণত অনেক মানুষ আছে যারা অর্জুন গাছ কি রকম দেখতে কোন ভাবেই জানে না অনেক জায়গায় খুঁজে বেড়ায়।তবে অনেক জায়গায় খুঁজে বেড়ানোর পরও তারা কিন্তু সঠিক তথ্য কোনোভাবেই পাই না।তাইতো আমরা আমাদের আর্টিকেলে খুব ভালোভাবেই অর্জুন গাছের ছবি দিয়ে দিয়েছি।
অর্জুন গাছের পাতা হয় একেবারে পেয়ারা পাতার মতো আর অর্জুন গাছের ফল হয় কামারাঙ্গা ফলের মতো। তাই আপনারা দেখলেই চিনতে পারবেন।আপনারা পড়ে দেখে জেনে নেবেন অর্জুন গাছ কি রকম হয় এই অর্জুন গাছের গুনাগুন কেমন।

অর্জুন-গাছের-ছবি

অর্জুন ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

অর্জুনের ছাল ভিজিয়ে রাখলে দেখবেন যে পানিটা পুরোপুরি বেগুনি রংয়ের হয়ে যাবে তখন আপনারা সেই পানিটা খেয়ে নিতে পারেন।তাইতো অর্জুন ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা দেওয়া হবে।অর্জুন গাছের ছাল কেটে নিয়ে এসে পিসপিস করে কেটে রোদে শুকিয়ে নেবেন ভালোভাবে।

দিয়ে এই ছালগুলো ৪ থেকে ৫ পিস দিবেন আধা গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন।তারপরে সকালে খালি পেটে ওই পানিটুকু খেয়ে নেবেন।একই ছাল আপনারা ৩ থেকে ৪বার পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাবেন।এই অর্জুন ছাল একবার পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে এর কস কোন ভাবেই শেষ হবে না।

তাই আপনারা একই ছাল ২-৩ বার পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাবেন তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।

অর্জুন পাতার উপকারিতা

সাধারণত অর্জুন গাছ হচ্ছে একটি উপকারী গাছ তাই আপনারা এর পাতা,ছাল ও ফল যেটাই খাবেন সেটাতেই কিন্তু উপকার পেয়ে যাবেন।তাইতো অর্জুন পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা দেওয়া হবে।সাধারণত অর্জুনের পাতা হয় পেয়ারার পাতার মতো আর এই অর্জুন গাছের ফল হবে কামরাঙ্গা ফলের মতো।

তাই আপনারা অর্জুন গাছ দেখলেই চিনে নিতে পারবেন।তবে এর পাতাও যদি আপনারা পানিতে ভিজিয়ে রেখে খান তাহলে কিন্তু খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।তাছাড়া এর পাতা নিয়ে এসে ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়ো করে নিয়ে এই গুড়ো ২ চামচ করে আধা গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে দেখবেন যে খুব ভালো উপকার হচ্ছে আপনার শরীরে যতরকমের সমস্যা সব দূর হয়ে যাবে।

বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের তো একেবারেই ভালো হয়ে যাবে।আশা করছি, অর্জুনের ছাল খাওয়া বিষয়ক সবরকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।

শেষ মন্তব্য | অর্জুন ছালের গুড়া খাওয়ার নিয়ম - অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা

অর্জুন হচ্ছে মানব দেহের জন্য একটি উপকারী গাছ৷তাই আপনারা এই গাছের যেটাই খাবেন সেটাতেই খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।এই গাছের ফল,ছাল ও পাতা যেটা খাবেন সেটাতেই উপকার পেয়ে যাবেন তাই আপনাদের নিয়ম-কানুন মেনে খেতে হবে তাহলে দেখবেন যে শরীরের সবরকম উপকার পেয়ে গেছেন৷

এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো খাবার বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url