ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় জানুন

নিম পাতা হচ্ছে একটা উপকারি পাতা তাই ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার আপনাদেরকে খুব ভালোভাবেই জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ নিম পাতা হচ্ছে তেতো টাইপের পাতা তাই এইটা আপনারা যত রকমের ব্রণের ভাইরাসগুলো আছে সব দূর করতে সাহায্য করে।তার সাথে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় তা জানানো হবে।

ব্রণের-জন্য-নিম-পাতার-ব্যবহার

নিম পাতা মানব দেহেরে ত্বকে যদি ব্যবহার করা যায় তাহলে কিন্তু খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।কারণ নিম পাতা হচ্ছে একটি তেতো টাইপের পাতা তাই এটি একটি ঔষধিপাতা হিসেবে ধারণা করা হয়।এই পাতা যদি বেটে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় জানুন

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

যাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ আছে তারা কিন্তু নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন না।তাইতো ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।একজন ছেলে বা মেয়ের মুখে যদি প্রচুর পরিমাণে ব্রণ বের হয় তখন কিন্তু দেখতে খুবই খারাপ লাগে।তবে এই মানুষগুলো কিভাবে ব্রণ দূর করবে তারা কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পায় না।
তাইতো তাদের জন্যই এই নিম পাতার ব্যবহার খুব ভালোভাবে দিয়ে দিয়েছি।নিম পাতা ব্রণের যত রকমের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আছে সব দূর করতে সাহায্য করে।তাই নিম পাতা ব্রণের যেভাবে ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • কিছু নিম পাতা,হলুদ এবং দই একসঙ্গে মিশ্রণ করুন।
  • আপনার মুখে এবং ত্বকে খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিন।
  • এবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • নিম এবং হলুদ ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে থাকে।
  • আবার তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্রণের প্রকোপ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

সাধারণত নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ হচ্ছে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।তাইতো নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এটি আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।নিমপাতা এবং কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে মুখে লাগালে মুখের সব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া গুলো বাসা বাঁধে সেগুলো দূর করে থাকে।আবার মুখে যদি কোন ভাবে রোদ লাগলে তাহলে একপ্রকার তেল তৈরি হয় মুখে।

এই তেল দূর করতেও কিন্তু নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।চুলের যত্নেও কিন্তু নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তবে বিশেষ করে নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ মুখে লাগাতে পারলে আপনাদের ত্বক কিন্তু খুব উজ্জ্বল হয়ে যাবে দ্রুতই।তাই যেসব কারণে কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • মুখের ও ত্বকের ব্রণ দূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ খুবই কার্যকরী মুখের ব্রণ দূর করতে।
  • চুলের খুশকি দূর করতে নিম পাতা কার্যকরী উপাদান।
  • চুলকানি দূর করতে এই নিম পাতা খুবই কার্যকারী।
  • চর্মরোগেও ভীষণ কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজে লাগে এই নিম পাতা।

তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার

সাধারণত অনেক মানুষের দেখা যায় যে মুখে ত্বকে রোদ লাগার কারণে এক প্রকার তেলচেটে ভাব দেখা যায়।এই তেলটা কিন্তু মুখের ত্বকের অনেক ক্ষতি করে থাকে।তাইতো তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।নিমপাতা হচ্ছে মানব দেহের জন্য একটি ঔষধি ও উপকারি পাতা।

এটাই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়া এতে কোন রকমের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বা ক্ষতি নেই।তাই আপনারা নিঃসন্দেহে এই পাতা মুখে ত্বকে ব্রণে লাগাতে পারেন কোন সমস্যা নেই।নিমপাতা তেতো টাইপের পাতা হওয়ায় এতে কিছু উপকারী উপাদান আছে।তাই যেসব কারণগুলোর কারণে ত্বকে নিম পাতা লাগাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • মুখের ব্রণ দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করবেন।
  • ত্বকের তেল দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার করবেন।
  • ব্রণ বের হয়ে ভালো হয়ে গেছে কিন্তু কালো দাগ হয়ে আছে সেগুলো দূর করতে নিম পাতা ভালো কার্যকারী।
  • মুখের কালচে ভাব দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন ।
  • আবার মুখের যেকোনো চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিম পাতা হচ্ছে মানব ত্বকের জন্য খুবই উপকারি পাতা।তাইতো নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কয়েকটি নিম পাতা নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন তারপরে এর সঙ্গে ২চামচ দই মিশিয়ে নিন৷তারপরে ভালো ভাবে আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিন ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে দেওয়ার ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ে একেবারে ফর্সা হয়ে গেছে আপনার ত্বক।আবার অ্যালোভেরা এবং নিমপাতা একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন।কারণ অ্যালোভেরা হচ্ছে যেকোন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।এই কাজগুলো করলে ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা হয়ে যাবে।তাছাড়া ত্বক ফর্সা করতে আরো যে কাজগুলো করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • নিমপাতা এবং দই দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন।
  • নিমপাতা এবং অ্যালোভেরা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন।
  • শসা এবং নিমপাতা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগালে ত্বক খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে যায়।
  • অ্যালোভেরা মুখের জন্য খুবই উপকারী তাই এমনি অ্যালোভেরা পেস্ট করে মুখে লাগাতে পারেন।
  • তাছাড়া নিমপাতা এবং আলুর রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে মুখে লাগাতে পারেন খুব দ্রুত ফর্সা হয়ে যাবেন।

চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

সাধারণত নিম পাতা বেটে যদি চুলে ব্যবহার করা যায় তাহলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।তাইতো চুলের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।চুলে নানান রকম ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এসে বাসা বাধার কারণে চুলে খুশকি হয় চুলকানি হয়।চুল খুব দ্রুত পড়ে যায় চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এই কারণেই অনেক মানুষের মাথা টাক পড়ে যায়।
তাইতো এই সমস্যাগুলো দূর করতে হলে অবশ্যই আপনাদের নিম পাতা বেটে ব্যবহার করতে হবে।নিম পাতা বেটে ভালো করে চুলের ভিতর পর্যন্ত লাগিয়ে দেবেন দিয়ে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।তারপরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন দেখবেন চুল খুব ভালো হয়ে যাবে।তাইতো নিম পাতা ব্যবহার করলে চুলের যেসব উপকার পাবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
  • চুলে নিমপাতা ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।
  • মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করতে হলে নিমপাতা ব্যবহার করতে হবে।
  • চুল বৃদ্ধি করতে হলে এবং চুলের গ্রোথ ভালো করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিম পাতা ব্যবহার করতে হবে।
  • নিমের পাতায় আছে ফ্যাটি এসিড ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলকে শক্ত করতে সাহায্য করে।
  • নতুন চুল গজাতেও কিন্তু নিমপাতা খুব কার্যকরী।

    নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়

    নিম পাতা বিশেষ করে এক ধরনের বিশেষ উপাদান আছে এই কারণে বেটে মুখে দিলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।তাইতো নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয় এটি আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এই কারণে নিমপাতা ভালো করে না বাটলে এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মুখে লাগবে না।

    ত্বকের ভেতর পর্যন্ত এবং লোমের ভিতর পর্যন্ত লোমকূপ পর্যন্ত পৌঁছাবে না।তাই এই নিম পাতা আপনারা যারা ব্যবহার করবেন তারা কিন্তু ভালোভাবে বেটে নিয়ে তারপরে ব্যবহার করবেন।তাহলে খুব ভালো উপকার পেয়ে যাবেন।কারণ এমনি যদি নিমপাতা লাগান তাহলে কিন্তু এর ভালো উপকার পাবেন না এ নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে ভালোভাবে বেটে মুখে ত্বকে এবং চুলে লাগালে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

    চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

    চুলকানি কিন্তু খুব খারাপ একটি জিনিস যেই মানুষের হয়েছে সেই মানুষের কিন্তু অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে।তাইতো এই টুলকানি হলে আপনারা নিমপাতা দিয়ে তা ভালো করতে হবে।তাইতো চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনাদেরও শরীরে যদি চুলকানি বের হয় তাহলে নিম পাতা ভালোভাবে বেটে নেবেন নাহলে নিম পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে নেবেন।

    দিয়ে পানিতে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিয়ে যেসব জায়গা গুলোতে চুলকানি বের হয়েছে সেই সব জায়গা গুলোতে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন।তাহলে তখন দেখবেন যে আর কোনভাবেই সেই জায়গা গুলো চুলকাবে না খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকার কারণে আপনার এটি বেটে মিহি করে বেটে ব্যবহার করবেন।

    কারণ তরল করে বেটে ব্যবহার করলে খুব ভালো উপকার পাবেন।আশা করছি, ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের কিছু টিপস দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।

    শেষ মন্তব্য | ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার - নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় 

    নিম পাতা হচ্ছে একটি ঔষধি এবং উপকারি পাতা মানব দেহের জন্য।তাই আপনার এটি ভালো করে মিহি করে বেটে ব্যবহার করতে পারেন বা এই পাতাগুলো রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিয়ে পানির সঙ্গে মিশ্রণ করে ব্যবহার করতে পারেন।এভাবে ব্যবহার করলে আশা করা যায় যে খুব ভালো উপকার পাবেন।

    এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো লাইফ স্টাইল বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর হ্যাঁ অবশ্যই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url