বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া জানুন
সাধারণত বাচ্চাদের বমি হতেই পারে তাইতো বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ একজন ছোট শিশুর যদি খাবারের সমস্যা
হয় বা পেটে গ্যাস হয় তখন কিন্তু একজন শিশু যেকোনভাবে বমি করে দেবে।আবার কোন কোন
শিশু বেশি খাবার খাওয়ার কারণে বমি করে থাকে।তার সাথে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার
দোয়াও জানানো হবে।
কারণ যেইসব বাচ্চারা কোন খাবার খাওয়ার পরেই বমি করে থাকে বা পেটে চাপ পড়লেই বমি
করে দেয়।তাদের কিন্তু ঘরোয়া চিকিৎসা এবং বিভিন্ন ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলো
খাওয়ানোর মাধ্যমে কিন্তু ভালো করতে পারেন।তাহলে তখন বাচ্চারা বমি করা খুব দ্রুত
ভালো হয়ে যাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া জানুন
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
সাধারণত বাচ্চাদের অতিরিক্ত বমি হওয়ার কারণে শরীর থেকে পানি প্রচুর পরিমাণে বের
হয়ে যায়।তাইতো বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় আপনাদের খুব ভালোভাবে
জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ অনেক মানুষ আছে যারা এই ঘরোয়া উপায় না জানার কারণে
তাদের বাচ্চাদের ভালো করতে পারে না।
আবার কোনভাবে যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে ঘরোয়া উপায়ে কি খাওয়াবে সেটা না জানার
কারণে বাচ্চাদের শরীর প্রচন্ড পরিমাণে দুর্বল হয়ে যায়।তাইতো সর্বপ্রথম আপনাদের
বাচ্চাদের ঘরোয়া উপায় জেনে বমি বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে।তাছাড়া যদি অতিরিক্ত
পরিমাণে বমি করতে থাকে তাহলে কিন্তু বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শিশু জন্মের কতদিন পর টিকা দিতে হয়
বিবেচনা করে অবশ্যই আপনাদের বাচ্চারা যদি প্রচন্ড পরিমাণে বমি করে তারপর ভালো
করার পরে পানি জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়াবেন।নাহলে কিন্তু আপনাদের
বাচ্চাদের শরীর পানিশুন্য হয়ে যেতে পারে।তাইতো বাচ্চাদের কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে
বমি বন্ধ করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
- তরল খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়াবেন।
- আদার রস ও মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে খাওয়াবেন।
- পুদিনা পাতার রস খাওয়াতে পারেন।
- দারুচিনি পানিতে গরম করে খাওয়াতে পারেন।
- ভাতের মাড় খাওয়াতে পারেন।
- এলাচ দানা পানিতে ফুটিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- মৌরি পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাওয়াতে পারেন।
- আপেল সিডার ভিনেগার বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- পেঁয়াজের রস ও আদার রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে খাওয়াতে পারেন।
- কাঁচা জিরা গুড়ো করে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- ল্যাভেন্ডার অয়েল বা সুগন্ধিযুক্ত তেল পুরো শরীরের মালিশ করে দিতে পারেন।
বমি ভালো করার পর বাচ্চাদের যেই খাবার গুলো খাওয়াবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
- ডাবের পানি
- সেভেন আপ
- স্যুপ
- শরবত
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
- তরল জাতীয় যে কোন খাবার।
- ওর স্যালাইন
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের বমি হয়ে থাকে তবে এই বমি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হতে থাকে
তাহলে কিন্তু একটি বাচ্চা বিশাল সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে।কারণ বাচ্চাদের যদি একটু
খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু বমির সমস্যা হতে পারে।তাইতো বাচ্চাদের
বমি বন্ধ করার দোয়া আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কারণ ছোট বাচ্চাদের প্রতি কিছু আমল আছে যেগুলো করলে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের
মধ্যে ছোট বাচ্চারা ভালো হয়ে যাবে নানান রকম অসুক বিসুক।তবে বাচ্চাদের বমি হলে
বাচ্চাদের বাবা মায়েরা নানান রকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং ভয়ের মধ্যে পড়ে যায়
যে তাদের বাচ্চাদের কিনা কি হয়েছে।তবে বাচ্চাদের বমি হলে বা বমির মত কোন সমস্যা
হলে কোন রকমের ভয়ের কোন কারণ নেই।
আপনারা শুধু নিচে দেওয়া দোয়াটি পড়বেন তাহলেই দেখবেন যে বাচ্চাদের যে কোন বমি
সংক্রান্ত সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।তাইতো নিচে এই দোয়াটি দেওয়া হলো:
বমি বন্ধ কারার দোয়া হলো -
আল্লহুম্মা রাব্বান্নসি আযহিবিল বাসা ওয়াসফিল কার্বা ওয়াশফিন মিনাল আযাব ইয়া
রহমানু ইয়া রহিম।
এর অর্থ হলো -
মানুষ পালনকারী আল্লাহ রোগ,দুঃখ ও যন্ত্রণা দূর করুন এবং এগুলো থেকে মুক্তি
দিন হে পরম দয়ালু।
দোয়াটি হলো -
বিসমিল্লাহিললাজি লা ইয়াযুররু মায়াসমিহি সাইউং ফিল আরজি ওলাফিস-সামায়ি। ওহুয়াস
সামিউল আলিম বিসমিল্লাহিসিফাউং মিন কুল্লিদা-আ,ওকিলা ইয়া আরজুর লায়ি মা আকি ও
ইয়া সামাউ আকলিয়ি ওগিজাল মাউ ওকুজিয়াল আমর্ ওয়া কি-লাল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল
আলামিন ফাসাইয়াক ফিকা হুমুল্লাহ........অহুয়াস সামিউল আলিম।
এই দোয়াটি সাদা কাগজ অথবা কাপড়ের উপর লিখে বাচ্চার শরীরে যেকোনো এক স্থানে
বেঁধে রাখতে হবে।তাহলে বাচ্চাদের বমি সংক্রান্ত সব সমস্যা ভালো হয়ে যাবে।
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার সিরাপ
সাধারণত বাচ্চাদের যেকোন কারনে বমি হতেই পারে।তাইতো বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার
সিরাপ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ
বাচ্চাদের বমি বন্ধ
করতে আপনারা যদি এই সিরাপ গুলো খাওয়ান তাহলে কিন্তু তখন ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন
বাচ্চাদের আর কোনভাবে বমি হবে না।বাচ্চাদের একটু খাবারের সমস্যা হলেই বাচ্চারা
বমি করতে পারে।
আবার বাচ্চাদের পেটে যদি নানান রকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলেও কিন্তু যেকোন সময়
বমি করতে পারে।তবে বাচ্চার বমি করা কিন্তু স্বাভাবিক বিষয় তবে হঠাৎ করে বমি করা
এবং অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করা কিন্তু খুবই খারাপ।কারণ বাচ্চারা যদি অতিরিক্ত বমি
করতে থাকে তাহলে কিন্তু বাচ্চাদের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হয়ে যেতে পারে।
তাই তখন আপনারা এই সিরাপ গুলো কিনে খাওয়াবেন তাহলে দেখবেন যে বাচ্চাদের আর
কোনভাবেই বমি হবে না পরবর্তীতে বাচ্চাদের শরীর স্বাস্থ্য আরো ভালো হয়ে
যাবে।তাইতো নিচে বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার কিছু সিরাপ দেওয়া হলো:
- জোফরা সিরাপ ৫০ মি.লি.
- অমিডন সিরাপ ৬০ মি.লি.
- অ্যানসেট সিরাপ ৫০ মি.লি.
বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঔষধ
সাধারণত বাচ্চারা কিন্তু নানান রকম কারণে বমি করতে পারে।তাইতো বাচ্চাদের বমি বন্ধ
করার ঔষধ আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ বাচ্চারা যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করতে থাকে তাহলে কিন্তু বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণে সমস্যার
মধ্যে পড়ে যাবে।তবে যেকোন বয়সের বাচ্চাদের কিন্তু বমি হতে পারে তাই এটি নিয়ে
আপনাদের খুবই সাবধান থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অটিজম শিশুদের ৫টি চিকিৎসা পদ্ধতি
তবে বেশিরভাগ বাচ্চাদের বমি হয়ে থাকে খাবারের সমস্যার কারণে।আবার কোন বাচ্চা আছে
বেশি খাবার খেয়ে হজম করতে পারে না তখন কিন্তু বমি করে বের করে দেয়।আবার কোন কোন
বাচ্চাদের ঠান্ডা গরম অতিরিক্ত লাগার কারণে সমস্যা হয়ে যায় দিয়ে তখন তারা বমির
মাধ্যমে খাবারগুলো বের করে দেয়।
বাচ্চারা একটু একটু বমি করতে পারে তবে বাচ্চারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি করে
তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাদের ঔষধ খাওয়ানোর মাধ্যমে ভালো করতে হবে।তাছাড়া আপনারা
যদি বাড়িতে নিয়ে বসে থাকেন তাহলে কিন্তু অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে।তাই নিচে
দেওয়া ঔষধগুলো বাচ্চাদের খাওয়াবেন তাহলে দেখবেন ভালো হয়ে যাবে খুব দ্রুত।তাইতো
ঔষধগুলো দেওয়া হলো:
- অন্ডেম ৪ এম জি ট্যাবলেট
- পেরিসেট ৪ এম জি ট্যাবলেট
- ওন্ডানবিক ৪ এম জি ট্যাবলেট
- জোফার ৪ এম জি ট্যাবলেট
- ভোমিহল্ট ৪ এম জি ট্যাবলেট
৩ বছরের বাচ্চার বমি
সাধারণত ছোট বাচ্চাদের একটু বমির সমস্যা হয়ে থাকে।কারণ ৩ বছরের বাচ্চাদের সব
রকমের খাবার খাওয়ানোর কারণে পেটের মধ্যে কোন খাবার তেমনভাবে হজম হয় না।সেই
কারণে তখন বমির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।তবে আবার বাচ্চারা বাইরে খেলাধুলা করার
কারণেও হাতে মুখে ধুলাবালি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া লাগার কারণেও কিন্তু তখন পেটের
সমস্যা হয় তখন কিন্তু অতিরিক্ত বমি করতে পারে।
তবে ৩ বছরের বাচ্চার বমি হলে কিভাবে ভালো করবে তার সবরকম টিপস এই আর্টিকেলের
মধ্যে খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।শুধু তিন বছরের বাচ্চা নয় যে বয়সের
বাচ্চারা অতিরিক্ত বমি করবে তাদের এই ফর্মুলা প্রয়োগ করলে দেখবেন যে এই
খাবারগুলো খাওয়ালে এবং ঘরোয়া উপায় পালন করলে দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে
বমি ভালো হয়ে যাবে।
কারণ বমি হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু অতিরিক্ত বমি হওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক তাই এটি
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঔষধ খাইয়ে নাহলে অন্য কিছু উপায়ে ভালো করতে হবে।তাইতো ৩
বছর বা তার কম বেশি বয়সী বাচ্চাদের বমির সমস্যা হলে কিভাবে বমি বন্ধ করবেন তা
নিচে দেওয়া হলো:
- প্রচুর তরল জাতীয় খাবার ও পানি খাওয়ানো।
- এক ঘন্টায় কয়েকবার স্যালাইন খাওয়ানো।
- বাচ্চা অতিরিক্ত বমি করলে বাচ্চাকে দাঁড় করিয়ে রাখবেন।
- বাচ্চা অতিরিক্ত বমি করলে বাচ্চার ২ চিপের গোড়ায় ২ আঙ্গুল দিয়ে ধরে রাখবেন।
- অবশেষে বাচ্চার বমি ভালো হয়ে গেলে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো শুরু করবেন।
তবে বাচ্চাদের যেসব কারণে বমি হতে পারে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হলো:
- ঠান্ডা-সর্দি লাগার কারণে
- প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে
- কান পাকা রোগ হলে
- এলার্জির সমস্যা থাকলে
তবে আবার দেখা যায় যে বমির আড়ালে কিন্তু মারাত্মক রোগ লুকিয়ে থাকতে পারে
সেইগুলো আপনাদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা করতে হবে।তাই এই রোগগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- জ্বর
- শরীরে পানি স্বল্পতা
- মায়ের বুকের দুধ না পান করা
- পানি না পান করা
- ত্বকের র্যাশ
- সবসময় ঘুমঘুম ভাব
- আবার খিটখিটে হয়ে থাকা
- মাথার চাঁদি ফুলে ওঠা
- শ্বাসকষ্ট হওয়া
- পেট ফুলে যাওয়া
- খিচুনির সমস্যা হওয়া
- বমির সাথে রক্ত এবং পিত্তরস বের হওয়া
- খাওয়ার আধা ঘন্টা পর বা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে প্রচন্ড পরিমাণে বমি করা।
৪ বছরের বাচ্চার বমি
সাধারণত ৪ বছরের বাচ্চা হচ্ছে একটু বড় বাচ্চা তাই এই বাচ্চাদের কিন্তু খাওয়ার
সমস্যার কারণে বমি হতেই পারে।তবে যদি আবার অতিরিক্ত পরিমাণে বমি হতে থাকে তাহলে
কিন্তু আপনাদের ঘরোয়া চিকিৎসা করতে হবে নাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঔষধ খাওয়াতে হবে।তাছাড়া কিন্তু আপনারা ভালো করতে পারবেন না বাড়িতে বসে থেকে।
তাইতো ৪ বছরের বাচ্চার বমি হলে কি করবেন তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হবে।৪ বছরের বাচ্চাদের তখন কিন্তু সেই রকম ভাবে বমির সমস্যার না হওয়ারই কথা।তাও
যদি কোন ভাবে বমির সমস্যা হয়ে যায় তবে আপনারা এই আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়া
ঘরোয়া কাজগুলো নিয়ম মেনে করবেন তাহলে ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।
তাই ৪ বছরের বাচ্চাদের যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বমি হয় তাহলে আপনারা এই কাজগুলো
করাতে পারেন।তাহলে তখন দেখবেন যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাচ্চাদের বমি ভালো হয়ে
যাবে।তাইতো নিচে বমি ভালো করার কিছু উপায় দেওয়া হলো:
- বাচ্চাদের বমি ভালো করতে তরল খাবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
- বাচ্চাদের বমি ভালো করতে কোনভাবেই বাচ্চাদের শুইয়ে রাখা যাবে না সব সময় দাঁড় করাতে হবে।
- বাচ্চাদের ২ চিপের গোড়া ভালো করে ধরে রাখুন বমি হওয়া থেমে যাবে।
- তবে বাচ্চা যদি অনবরত অতিরিক্ত বমি করতে থাকে তাহলে বাচ্চাকে উপুড় করে শুইয়ে দেবেন।
- অবশেষে এই কাজগুলো করে যদি বমি ভালো না হয় তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেয়ে চিকিৎসা করাবেন।
বাচ্চাদের বমি হওয়ার কারণ
সাধারণত বাচ্চাদের যেসব কারণে বমি হয়ে থাকে তা কিন্তু সব মানুষ জানে না।তাইতো
বাচ্চাদের বমি হওয়ার কারণ গুলো সব আপনাদের ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া
হবে।বাচ্চাদের বমি হয় নানান রকম কারণে শুধু খাবার খাওয়ার সমস্যার কারণে বমি হয়
না।সাধারণত বাচ্চাদের শরীরে যদি আরো বিভিন্ন রকমের রোগ এসে বাসা বাঁধে তাহলেও
কিন্তু বাচ্চাদের বমি হতে পারে।
তাইতো সর্বপ্রথম আপনাদের এইসব দেখে বিষয় বিবেচনা করে দেখতে হবে তারপরে বাচ্চাদের
কি কারনে বমি হচ্ছে সেই কারণটা নির্বাচন করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ঔষধ খাইয়ে ভালো করতে হবে।তাছাড়া যদি ছোটখাটো বিষয়ে বমি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা
তো ঘরোয়া উপায়ে ভালো করতে পারবেন।
তবে যারা ঘরোয়া উপায় ছোট বাচ্চাদের বমি ভালো করতে জানেন না তারা এই আর্টিকেল
অবশ্যই একবার হলেও পড়ে নিবেন।তাহলে সব বয়সী বাচ্চাদের বমি ভালো করার সব রকম
টিপস উপায় ভালোভাবে জেনে যাবেন।তাইতো কি কি কারনে বাচ্চাদের বমি হতে পারে তা
নিচে দেওয়া হলো:
- গলায় ইনফেকশন হলে
- ঠান্ডা লেগে কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে
- মাইগ্রেনের সমস্যা হলে
- সাইনাসের ব্যথা হলে
- ব্রেনে কোনভাবে ইনফেকশন হলে
- পেটে প্রচন্ড কৃমি হলে
- জন্ডিস রোগ হলে
- পেটে বদহজম হলে
- খাদ্যে কোনভাবে বিষক্রিয়া হলে
- এলার্জির সমস্যা হলে
১ মাসের শিশুর বমি হলে করণীয়
সাধারণত ১ মাসের বাচ্চা হচ্ছে খুবই ছোট বাচ্চা।তাইতো ১ মাসের শিশুর বমি হলে
করণীয় কি তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণে ১ মাসের বাচ্চা
মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুই খাবে না।১ মাসের বাচ্চা হচ্ছে অত্যন্ত ছোট
বাচ্চা তাই একে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়।
তবে বাচ্চাদের বমি সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত দুধ খাওয়ার কারণে আবার দুধ কম
খাওয়ার কারণে।তবে মায়ের পেট থেকে বের হয়ে দুধ খাওয়ার কারণে পেটের পায়খানার ও
বমির নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই আপনাদের যেসব কাজগুলো করতে হবে তাই
আর্টিকেলের নিচে দেওয়া হয়েছে।
আশা করছি, সব রকম বয়সি বাচ্চাদের বমি ভালো করা সব রকম টিপস আপনাদের দিতে
পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে
জানাবেন।তাইতো ১ মাসের শিশুর যদি কোনোভাবে বমি করা শুরু করে তাহলে আপনারা যা
করবেন তা নিচে দেওয়া হলো:
- অনবরত শিশু অতিরিক্ত বমি করলে উপুড় করে শোয়াবেন।
- ছোট শিশুকে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
- মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে ঔষধ খাওয়াবেন।
- তারপর ১৫ মিনিট পর পর এক চামচ করে পানি খাওয়াতে পারেন।
শেষ মন্তব্য | বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় - বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার দোয়া
যে বয়সী বাচ্চা বমি করুক না কেন তার সবরকম টিপস কিন্তু এই আর্টিকেলের মধ্যে খুব
ভালোভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।আপনারা শুধু একটু ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়লেই
সব কিছু জানতে পারবেন।কারণ ছোট বাচ্চারা বমি করতেই পারে তবে অতিরিক্ত বমি করলে
আপনারা এইসব টিপসগুলো অবলম্বন করবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার
করবেন এবং বিভিন্ন রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ক আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ফলো করে
রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর হ্যাঁ অবশ্যই
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url