বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ - বিড়ালের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানুন

সাধারণত ডিপথেরিয়া খুবই খারাপ রোগ তাইতো বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ কি তা আপনাদের খুব ভালো ভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ ডিপথেরিয়া রোগ কিন্তু বিড়ালের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে।তাইতো ডিপথেরিয়া রোগ যদি কোন মানব শরীরে হয় তখন কিন্তু অবস্থা খারাপ হতে পারে।তাইতো বিড়ালের বিভিন্ন রোগ গুলো জানানো হবে।

বিড়ালের-ডিপথেরিয়া-রোগের-লক্ষণ

ডিপথেরিয়া সাধারণত বিড়ালের শরীর থেকে সৃষ্টি হতে পারে।তাইতো তখন আপনাদের ডিপথেরিয়া রোগ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই বিড়ালকে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নিতে হবে।তাছাড়া বিড়ালের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ - বিড়ালের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে জানুন

বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ

সাধারণত ব্যাকটেরিয়া রোগ কিন্তু বিড়ালের মাধ্যমে ছড়াই আবার বিড়ালের কিন্তু বেশি হয়ে থাকে।তাইতো বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ গুলো আমাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ একটি বিড়াল পালন করতে হলে বিড়ালকে ডিপথেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন করে নিতে হবে তখন কিন্তু দেখবেন যে আর এই সমস্যা হবে না।
তাছাড়া আপনারা যদি বিড়াল নিয়ে সবসময়ই বিড়ালের সংস্পর্শে থাকেন তখন কিন্তু মহা সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন।তাইতো এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে তখন আপনাদের বিড়াল লালন পালন করার সময় বিড়ালকে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নেওয়াটা খুবই জরুরী।

তাহলে তখন দেখবেন যে আর কোন ভাবে ডিপথেরিয়া রোগের সমস্যা হবে না।তাইতো বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগ হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় তার নিচে দেওয়া হলো:
  • বিড়ালের কিডনির সমস্যা হতে পারে।
  • বিড়াল সব সময় ঘড়ঘড় আওয়াজ করতে পারে।
  • বিড়াল সব সময় হাচি কাশি দিতে পারে।
  • বিড়ালের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
  • বেড়ালের যদি ডিফথেরিয়া রোগ হয় তাহলে বিড়াল ঝিমিয়ে যেতে পারে।

বিড়ালের বিভিন্ন রোগ

সাধারণত বিড়াল লালন পালন করতে হলে বিড়ালের বিভিন্ন রকম ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে জেনে তারপর বিড়াল পালন করতে হবে।তাইতো বিড়ালের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ আপনারা যদি রোগ সম্পর্কে কোন কিছুই ধারনা না জানেন তখন কিন্তু কোন ভাবেই বিড়াল গুলোকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না।

কারণ গৃহপালিত যেকোন পশু পাখির একটু অসুখ-বিসুখ হলেই কিন্তু তারা মারা যায়।তাছাড়া এই গৃহপালিত পশুগুলো যদি মারা যায় তখন কিন্তু এগুলো থেকে কিছু পরিমাণে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ছাড়াই যেগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।তাই বিড়াল লালন পালন করতে হলে বিড়ালকে একটি ডিপথেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন করে নেবেন।

তাহলে আর কোন রকমের সমস্যা হবে না।আবার নিচে কিছু বিড়ালের বিভিন্ন রোগের নাম দেওয়া হলো:
  • প্যানলিউকপেনিয়া
  • আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশন
  • ফেলাইন ইনফেকসিয়াস পেরিটোনিটিস
  • বিরালের ডায়রিয়া
  • ফেলাইন ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস
  • ফেলাইন লিউকেমিয়া
  • হিপ ডিসপ্লেসিয়া
  • ফেডিং কিটেন সিনড্রোম
  • ওর্য়াম

    ডিপথেরিয়া রোগের কারণ

    ডিপথেরিয়া হচ্ছে খুবই খারাপ একটি রোগ যেটি যেকোন বয়সী মানুষের হতে পারে।ডিপথেরিয়া রোগের কারণ কি তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।ডিপথেরিয়া হচ্ছে একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যেটি যেকোনো মানুষের শরীরে যখন তখন হতে পারে।তবে এই ডিপথেরিয়া রোগ আবার বিড়ালের মাধ্যমে কিন্তু বেশি ছাড়াই।

    তবে আপনারা যারা বাড়িতে বিড়াল পালন করে থাকেন তারা অবশ্যই বিড়ালকে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নেবেন।তাহলে তখন দেখবেন যে বিড়ালের শরীর থেকে আর কোন ভাবে ডিপথেরিয়া ছড়াবে না।তবে ডিপথেরিয়া হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এই কারণে তখন আপনাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।তাইতো কি কারণে ডিপথেরিয়া হয় তা নিচে দেওয়া হলো:
    • ডিপথেরিয়া রোগ সাধারণত বিড়ালের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
    • যারা প্রচন্ড হাসি কাশি করে তাদের মাধ্যমে রোগ ছড়াতে পারে।
    • প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে ডিপথেরিয়া রোগ গলায় প্রবেশ করতে পারে।
    • বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ডিপথেরিয়া রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিরোধ

    সাধারণত ডিপথেরিয়া হচ্ছে আরো পাঁচটি রোগের মত।এই রোগের যদি ভ্যাকসিন না করা হয় তাহলে কিন্তু যেকোন সময় ডিপথেরিয়া হতে পারে।তাইতো ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ পোলিও,যহ্মা,হাম ও বসন্ত এগুলোর যেমন টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
    তেমন কিন্তু ডিপথেরিয়া রোগেরও ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়।তখন আপনারা এই ভ্যাকসিনগুলো করে নিতে পারেন তাহলে আর কোন ভাবেই পরবর্তীতে ডিপথেরিয়া রোগ হবে না।ডিপথেরিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে হলে সব থেকে ভালো উপায় হলো ডিপথেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন করে নেওয়া।

    তাহলে তখন দেখবেন যে কোনভাবেই আর ডিপথেরিয়া রোগের সংক্রামক হবে না বা ডিপথেরিয়া রোগ হবে না।

      ডিপথেরিয়া রোগের বাহক কে

      সাধারণত ডিপথেরিয়া রো বাতাসের মাধ্যমে হাচি কাশির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজন হতে পারে।তাইতো ডিপথেরিয়া রোগের বাহক কে তা আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।ডিপথেরিয়ার বাহক হচ্ছে বাতাস এবং মানুষের হাচি কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

      তাইতো তখন আপনাদের এই রোগ হলে খুব সতর্কভাবে থাকতে হবে কারণ খুবই খারাপ একটি রোগ যেটি হলে মানবদেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।তাইতো এই রোগের সব থেকে ভালো প্রতিকার হলো ভ্যাকসিন করে নেওয়া।ডিপথেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন যদি আপনারা করে নেন তাহলে তখন আর কোনোভাবেই হাচি কাশি ফেলার মাধ্যমেও কিন্তু একজন থেকে আরেকজনের ছড়াবে না।

      তবে শ্বাসকষ্ট রোগীর থেকে ডিফথেরিয়া রোগ একে অপরকে হতে পারে।তাইতো শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হাচি কাশি দেওয়া ব্যক্তি দূরে থাকতে হবে ।

      ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার

      সাধারণত যেকোন মানব দেহে কিন্তু ডিপথেরিয়া রোগ হতে পারে তাইতো আপনাদের সাবধান থাকতে হবে।আবার ডিপথেরিয়া রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আপনাদের খুব ভালোভাবেই জানিয়ে দেওয়া হবে।কারণ ডিপথেরিয়া রোগ হচ্ছে মানব দেহের জন্য খুবই খারাপ একটি রোগ যেটি একবার যেকোনো মানুষের শরীরে হলে নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

      তবে ডিপথেরিয়া রোগ হচ্ছে মানব দেহের জন্য খুবই খারাপ যেটি বিড়ালের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বিড়ালের হয়ে থাকে।তাই যারা বাসা বাড়িতে বিড়াল লালন পালন করে থাকেন তারা বিড়ালকেও একটি ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন করে নিবেন এবং নিজেও একটি ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিন করে নেবেন।তাছাড়া নিচে কিছু ডিপথেরিয়া প্রতিকার দেওয়া হলো:
      • সঠিক সময় শিশুদের ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নেবেন।
      • ডিপথেরিয়া ভ্যাকসিনের সময় থাকে ১০ বছর পর্যন্ত।তাই আপনারা ১০ বছর পর পর ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নেবেন।
      • সব সময় সুন্দর এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকবেন।
      • তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এমন খাবার প্রচুর পরিমাণে খাবেন।

      ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ

      ডিপথেরিয়া হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যেটি একবার মানবদেহে হলে নানারকম সমস্যা দেখা দেয় এবং যেকোনো মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।তাইতো ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ গুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনারা যদি সেই লক্ষণ গুলো জানার মাধ্যমে তখন যদি ভালোভাবে ভ্যাকসিন এবং ঔষধ খেতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

      তাছাড়া রোগের লক্ষণগুলো দেখে যদি আপনারা বুঝতে না পারেন তখন কিন্তু মহা সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন তাইতো সেই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে।অবশ্যই আপনাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়া তথ্য গুলো একবার হলেও ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।তাহলে তখন সবরকম উপায় জেনে যাবেন।

      আশা করছি, ডিপথেরিয়া বিষয়ক সব রকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।তাইতো নিচে ডিপথেরিয়া রোগের আরো কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো:
      • শরীরে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগা ও জ্বর হওয়া।
      • প্রচন্ড গলা ব্যথা ও কাশি হওয়া।
      • মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা।
      • খাবার খেতে এবং কথা বলতে সমস্যা হওয়া।
      • হঠাৎ করে নাক মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং প্রচন্ড দুর্বলতা।
      • প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া।
      • নাক দিয়ে পানি পড়া এবং রক্ত বের হওয়া।
      • ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হওয়া।
      • ঘন ঘন টনসিলের সমস্যা হওয়া।

      শেষ মন্তব্য | বিড়ালের ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ - বিড়ালের বিভিন্ন রোগ

      ডিপথেরিয়া এমন একটি রোগ যেটা প্রতিকার শুধুমাত্র ভ্যাকসিন দ্বারাই করা হয়।সাধারণত ডিপথেরিয়া রোগ হচ্ছে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ যেটি বিড়ালের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে আবার বিড়ালেরও এরোগ হয়ে থাকে।তাই যারা বাসা বাড়িতে বিড়াল পালন করে থাকেন তারা অবশ্যই বিড়ালকে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন করে নেবেন এবং অবশ্যই আপনিও একটা ভ্যাকসিন করে নেবেন।

      এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেন এবং আরো বিভিন্ন রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর হ্যাঁ অবশ্যই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

      এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

      পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
      এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
      মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

      nafizplus.comনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

      comment url