চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম - চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক ৭উপায় জানুন

প্রিয় গ্রাহক আপনারা অনেক খোজাখুজি করে হয়তো চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম জানতে পারেন নি তাই আপনাদের এটির সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।মানুষের চুল অনেক কারণেই পড়ে যায় তখন এই চুল পড়া কিভাবে রোধ করবেন বা বন্ধ করবেন সেটা জানেন না।তাই আপনারা মৌসুমী শাকসবজি বেশি করে খাবেন তাহলে দেখবেন যে চুল ভালো থাকবে।আবার চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জানানো হবে।

এখনকার সময়ের মানুষেরা শাকসবজি কম খাওয়ার কারণে তাদের চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকছে।আবার এই চুল পড়ে যেতে লাগলে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কোন মানুষ জানে না।তাই আপনাদের অবশ্যই এই চুল পড়ার প্রাকৃতিক নিয়ম গুলো জানতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করতে প্রাকৃতিক যে তেল গুলো হয় সেই তেল গুলো ব্যবহার করা চুলের জন্য খুবই ভালো।তাহলে চুল পড়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল গুলো আরো ঘন হয়ে যাবে।বিভিন্ন তেলের মাধ্যমে চুলকে ভালো রাখা যায় এবং ফুরফুরে ও ঘন করা যায় তাই অবশ্যই আপনাদের প্রাকৃতিক নিয়মে যেই প্রাকৃতিক তেলগুলো আছে তার ব্যবহার করলে চুলের জন্য খুব উপকার।

আশা করছি, চুল পড়া বিষয়ক সব রকম টিপস আপনাদের দিতে পেরেছি।তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই তা কমেন্ট করে জানাবেন।চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম নিচে দেওয়া হলো।প্রাকৃতিক তেল গুলো হলো:

• পেঁয়াজের তেল যা চুলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
• নিম তেল যা মাথার জীবাণু এবং খুশকি গুলোকে দূর করে চুলের গোড়া মজবুত করে।
• নারিকেল তেল যা চুলকে ভিটামিন যোগায় আর চুল ঘন করে।
• বাদাম তেল যা চুলের জন্য খুব উপকারী তেল।
• কালোজিরা তেল যা ব্যবহার কররেও ভালো উপকার পাবেন।
• চুল ভালো রাখার আরো কিছু তেল দেওয়া হলো:
• অলিভ অয়েল তেল এটি ব্যবহার করলে চুলকে মজবুত করে অতিরিক্ত চুল পড়া থেকে রক্ষা করে এবং চুলকে ঘন করে।
• হেয়ারডেক্স তেল যা চুলের খুশকি এবং জীবাণু গুলোকে মেরে ফেলে এবং চুল পড়া রোধ করে আবার চুল ভালো করতেও সাহায্য করে।
• ক্যাস্টর অয়েল এটি ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে এবং চুলকে ভালো রাখে।

চুল পড়া আমাদের দেশে প্রায় একটা সমস্যা হয়ে উঠেছে।কিন্তু অনেক মানুষ জানে না চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় এটি জানানোর চেষ্টা করবো।চুল পড়ে সাধারণত খাবারের কারণে।আবার চুল পড়ে রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং ধুলা-ময়লার কারণেও।মাথার মানান সই জিনিস হচ্ছে চুল তাই অল্প বয়সে চুল পড়ে গেলে অনেক সমস্যা।

তাই ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।তাহলে চুল পড়া কিছুটা বন্ধ হবে।আবার এই ক্ষতিকারক রশ্মি এবং ধুলা ময়লার কারণে আপনারা নারিকেলের তেল বা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।চুল পড়া বন্ধ করার কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিচে দেওয়া হলো:

• চুল পড়া রোধ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।
• চুল পড়া বন্ধ করতে নারিকেলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
• চুল পড়া বন্ধ করতে আরো ভালো কাজ করে পেঁয়াজের রস।
• গ্রিন টি খেতে পারেন এটিও চুল পাড়া রোধ করে।
• মেথি বীজ চুল পড়া রোধ করে থাকে।
• নিমপাতা চুলের জন্য খুব কার্যকরী একটি উপাদান।
• পেয়ারার পাতা হচ্ছে চুল ঘন করতে এবং চুল পড়া রোধ করতে খুব সাহায্য করে থাকে।

আমাদের দেশে প্রায়ই মানুষের এই চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে।ছেলেদের কম হলেও মেয়েদের প্রায়ই অনেকের এই সমস্যা হয়ে থাকে।চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে খাবারের কারণে আবার রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি এবং ধুলাবালির কারণে হয়ে থাকে।

এখনকার মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খাই না এই কারণে তাদের শরীর ভালো থাকে না আবার শরীরে ভিটামিন না থাকলে তা চুলে আর কেমন করে থাকবে তখন চুলা পড়তে শুরু করে।বাইরে ঘোরাফেরা করার সময় ধুলা ময়লা ঢুকে এবং রোদের ক্ষতিকারক রশ্মির কারণে ওই চুল পড়তে পারে।এই চুল পড়ে সাধারণত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার কম খেলে।

তাই আপনাদের অবশ্যই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।তাই মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হলো:

• ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে যেমন শাকসবজি।
• নারিকেল বা আমলকির তেল ব্যবহার করতে হবে।
• চুলপাড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসও ভালো কাজ করে এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
• লেবু আর ডিম একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চুল পড়া বন্ধ হবে।

চুল পড়া সমস্যাতে প্রায় সব মানুষেরই ভুগছে।তাই আপনাদের অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।আপনাদের মাথার চুল যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পড়তে থাকে তাহলে আপনারা এই কাজগুলো করতে পারেন।অনেক মানুষ আছে যারা দেখা যায় মৌসুমী শাকসবজি গুলো কম খায় এই কারনে চুল অতিরিক্ত পড়ে।

তাই আপনারা অবশ্যই মৌসুমী শাকসবজি গুলো বেশি করে খাবেন।তাহলে দেখবেন যে চুল পড়া অনেকটা কমে গেছে।আবার আপনারা বাইরে থেকে এসে গোসল করে নেবেন সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে তাহলে দেখবেন যে চুল পড়া প্রায় কমে গেছে কারণ বাইরে গেলে যে ধুলা-ময়লা বা ক্ষতিকারক রশ্মি মাথার চুলে লাগে।

তখন ধুলা-ময়লা এবং ক্ষতিকারক রশ্মি একসঙ্গে হয়ে মাথায় জীবাণু সৃষ্টি করে তখন মাথা ঘেমে যায় তারপরে খুশকি হয়ে যায়।যখন এই খুশকি বেশি হয়ে যায় তখনই চুলের গড়া নষ্ট করে দেয় তখন অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করে।তাই আপনাদের বাইরে থেকে এসে গোসল করে ফেলাটাই ভালো গোসল করে কিছু তেল ব্যবহার করা আরো ভালো।তাহলে অতিরিক্ত চুল পড়া একেবারেই কমে যাবে।

চুল পড়া সমস্যা হয়ে গেছে এখনকার প্রধান সমস্যা।কারো চুল পড়ে যাচ্ছে খাবারের কারণে তো আবার কারো পড়ে যাচ্ছে মাথায় ময়লা জমার কারণে।যখন মাথার চুলের প্রোটিন কমে যায় তখন চুল পড়তে শুরু করে।আবার আপনাদের দেহে যখন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হবে তখন এই চুল পড়তে শুরু করবে।

তাই আপনাদের অবশ্যই চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায় গুলো জেনে নিতে হবে।চুল পাড়া বন্ধ ও ঘন করার কিছু উপায় নিজের দেওয়া হলো:

• পেঁয়াজের রস,লেবুর রস এবং নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশ্রণ করে মাথায় মাখুন তারপর ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
• চাল ধোয়া পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন তাহলেও ভালো ফল পাবেন।
• একটা ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশ্রণ করে নিয়ে চুলে দিতে পারেন এটিতেও ভালো ফল পাবেন।
• মেথি ভিজিয়ে রেখে ভালো করে বেটে চুলে দিতে পারেন এটিও ভালো ফলাাফল পাবেন।
• প্রোটিন,ভিটামিন ডি এবং আয়রন আছে এমন খাবার খান।
• নিয়মিত চুলে চিরুনি ব্যবহার করুন।চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বেশি হবে তখন চুল পড়া বন্ধ হবে।
• রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মাথায় যেকোন রকম তেল ব্যবহার করেন তা ব্যবহার করে পরের দিন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পুরুষের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমাদের দেশে প্রায় কমবেশি সকল মানুষের এই চুল পড়া সমস্যা হয়ে গেছে।তাই চিরতরে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় অনেক মানুষ আছে যারা এখনো জানে না তাদের বিশেষ করে জানানোর চেষ্টা করবো।চুল পড়ে যায় সাধারণত খাবারের কারণে তাই আপনাদের মৌসুমী শাকসবজি গুলো বেশি করে খেতে হবে তাহলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

আবার বাইরে থেকে এসে ধুলা ময়লা ও ক্ষতিকারক রশ্মি চুলে লাগলে তা সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে নিতে হবে।তারপরে আপনারা নারিকেলের তেল বা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করেও চিরতরে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন।আমাদের আর্টিকেলে দেওয়া সব নিয়মকানুন যদি আপনি ভালোভাবে মেনে থাকেন তাহলে আপনাদের চিরতরে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

সাধারণত চুল পড়া বন্ধ করতে হলে অবশ্যই আপনাদের চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক ব্যবহার করতে হবে।সাধারণত দিনে কয়েকটা চুল পড়া স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু যদি একদিনে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়তে থাকে তাহলে কিন্তু মহাবিপদের মধ্যে পড়ে যাবেন।তখন চুল পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে যেয়ে মাথার পুরো চুল শেষ হয়ে যাবে তখন আপনি মাথার চুল আর কোন ভাবেই থাকবে না।

তাইতো আপনাদের অবশ্যই এই প্যাকগুলো ব্যবহার করা উচিত।তাই চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুল আরো ঘন করতে নিচে কিছু প্যাক দেওয়া হলো:

• নারিকেলের দুধ এবং কালার হেয়ার নারিকেলের তেল চুলের জন্য ভালো ।
• অ্যালোভেরার হেয়ার প্যাক এটিও চুলের জন্য খুবই ভালো।
• ডিম আর মধুর হেয়ার প্যাক এটাও চুলের জন্য ভালো চুলকে পুষ্টি যোগায়।
• জবা ফুলের প্যাক যা চুলকে মজবুত এবং শক্ত করে।

চুলের জন্য চুলের পর্যাপ্ত প্রোটিন ভিটামিন দেওয়া উচিত এবং কিছু প্রোটিন ভিটামিন আবার খাওয়াও উচিত।তাই চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা দেওয়া হবে।চুলে যখন ভিটামিন এবং পুষ্টির মাত্রা কমে যায় তখন কিন্তু চুল পড়তে শুরু করে।তাইতো আপনাদের চুলে ভিটামিন এ,বি,সি,ডি এবং ই এই ভিটামিন গুলো ব্যবহার করতে হবে।

তাহলে দেখবেন যে খুব তাড়াতাড়ি আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল করবে ঝলমলে,শক্ত ও মজবুত।তবে এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেকটা চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো: ডিমের কুসুম,কলিজা,বাদাম,বীজ,কলা,মিষ্টি আলু,মাশরুম ও ব্রকলি ইত্যাদি।

এই খাবারগুলো খেলে দেখবেন যে অনেক ভাবেই আপনারা চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং ঝলমলে চকচকে হয়ে যাবে চুল।

সাধারণত অনেক মানুষের দেখা যায় যে প্রচুর পরিমাণে চুল পড়ে গিয়ে তারা টাক মাথা হয়ে গেছে।তাই আপনাদের চুল পড়া বন্ধ করার খাবার সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়া হবে।কারণ এই খাবারগুলো যদি আপনি প্রতিনিয়ত বা সপ্তাহে মাসে খেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে চুল আপনার কোনভাবেই পড়বে না এবং আরো শক্ত মজবুর হয়ে যাবে।

তাই বিশেষ করে এই খাবারগুলো খেলে দেখবেন যে আপনার শরীর ও পুষ্টি পাবে এবং চুলও পুষ্টি পেয়ে আরো উন্নত হবে।তাই নিচে চুল পড়া বন্ধ করার কিছু খাবার দেওয়া হলো:

• জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার
• পালং শাক
• মাশরুম
• ডাল
• কুমড়োর বীজ

চুলপড়া বন্ধ করতে বা রোধ করতে আপনাদের অবশ্যই মৌসুমী শাক-সবজি খেতে হবে বেশি পরিমাণে।আবার বাইরে থেকে এসে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে গোসল করতে হবে যাতে চুলে ধুলা ময়লা না থাকে।তারপরে অবশ্যই আপনারা তেল গুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুলের কোন রকমের সমস্যা হবে না।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল ঘন হবে ফুরফুরা এবং ভালো হবে।তাই এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি শেয়ার করবেনএবং আরো লাইফস্টাইল বিষয়ক টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার কারণে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।